ব্যবসা সূত্রে উপার্জন বৃদ্ধি। বিদ্যায় মানসিক চঞ্চলতা বাধার কারণ হতে পারে। গুরুজনদের শরীর-স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতন ... বিশদ
কলকাতা পুরসভার মুখ্য পতঙ্গবিদ ডঃ দেবাশিস বিশ্বাস বলেন, এই সময়টায় প্রতি বছরই এই ধরনের মশার উৎপাত বাড়ে। এগুলি বেশিরভাগই কিউলেক্স মশা। ডেঙ্গু বা ম্যালেরিয়ার মতো কোনও রোগ এরা বহন করে না। তবে মানুষের বিরক্তি উৎপাদনে এদের জুড়ি মেলা ভার। নদী-নালা, আগাছা ভর্তি জঙ্গল থেকে শুরু করে খোলা নিকাশিনালা, অপরিষ্কার খালের জলে এই মশা বংশবৃদ্ধি করে। তবে অক্টোবর মাসে কালীপুজোর আগে টানা ক’দিনের মেঘলা আবহাওয়া এবং বৃষ্টির কারণে এখনও ডেঙ্গু ছড়ানোর আশঙ্কা রয়ে গিয়েছে। উৎসবের মরশুমে বিভিন্ন জায়গায়, প্লাস্টিকের কাপ, ডাবের খোলা, গর্ত সহ বিভিন্ন ‘ওয়াটার পকেট’ তৈরি হয়েছে। যেহেতু এই সেদিন পর্যন্ত বৃষ্টি হয়েছে, তাতে এগুলিতে জমে থাকা জলে ডেঙ্গুর মশা এডিস ইজিপ্টাই বংশ বিস্তার করতেই পারে। ফলে কিউলেক্স মশায় ভয় না থাকলেও সব ধরনের মশা নিয়েই আপাতত সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরি। ওই পতঙ্গবিদ আরও বলেন, শীত পুরোদমে পড়ে গেলে ডেঙ্গুর মশা প্রায় থাকবে না। কিন্তু অল্পবিস্তর কিউলেক্স মশার উপদ্রব থাকবে। ফেব্রুয়ারি মাস নাগাদ যখন শীত কমতে শুরু করবে, তখন থেকে এই মশা আবার বেড়ে যাবে। কলকাতা পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগের আরেক আধিকারিক বলেন, আমরা ইতিমধ্যেই খালে নৌকা নামিয়ে মশা মারার তেল স্প্রে করতে শুরু করেছি। বিভিন্ন খোলা নিকাশি নালাতেও এই কাজ করা হচ্ছে। কিউলেক্স মশার বাড়বাড়ন্ত ঠেকাতে আমরা সমানে কাজ করে চলেছি।
তাপমাত্রা ১৫-১৬ ডিগ্রি থাকলে ডেঙ্গুর মশা জন্মাতে পারে না। তবে আমাদের এখানে যে ধরনের জলবায়ু এবং নানা ধরনের ‘অজানা জ্বর’-এর প্রকোপও যেভাবে বাড়ছে, তাতে সারা বছরই সচেতন থাকা ভালো বলে মনে করছেন পুরসভার বিশেষজ্ঞরা। আবহাওয়া অফিসের মতে, আপাতত কয়েকদিন ভোরের দিকে শীত-শীত ভাব থাকলেও দিনের বেলা আর্দ্রতার কারণে অস্বস্তি থাকবে। শীতের পথ এখনও আটকে রয়েছে। তাই সচেতনতা ও সতর্কতার কোনও বিকল্প নেই বলে মনে করছেন তাঁরা।