ব্যবসা সূত্রে উপার্জন বৃদ্ধি। বিদ্যায় মানসিক চঞ্চলতা বাধার কারণ হতে পারে। গুরুজনদের শরীর-স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতন ... বিশদ
আগামী এপ্রিল-মে মাসে রাজ্যে শতাধিক পুরসভার ভোট। গত লোকসভা ভোটে ১৮টি আসন জিতে ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছে বিজেপি। এই অবস্থায় কোনও ঝুঁকি নিতে চাইছেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রশাসনিক মহলের মতে, কার্যত পুর নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করে দিল মমতার সরকার। সাধারণত নভেম্বর মাস থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত বরাদ্দ অনুযায়ী কাজ করতে হয়। রাজ্য সরকারের যেসব উন্নয়নমূলক কর্মসূচি চলছে, তার পর্যালোচনা করবেন মুখ্যমন্ত্রী নিজে। তিনি চান, তাঁর জনমুখী প্রকল্পগুলির সুবিধা যেন সাধারণ মানুষ পায়। তাছাড়া যেসব জায়গায় রাস্তা, উড়ালপুলের কাজ চলছে, তা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শেষ করা হোক। কয়েকটি দপ্তরের কাজে খুশি নন মুখ্যমন্ত্রী। বিভিন্ন বৈঠকে তা তিনি উল্লেখ করেছেন। ফলে আগামী সোমবারের বৈঠকে সেই সব দপ্তরের কাজ নিয়ে আলোচনা হবে বলে জানা গিয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০১১ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে এ ধরনের প্রশাসনিক বৈঠক শুরু করেন মুখ্যমন্ত্রী। বছরে দু’বার রাজ্যস্তরে বৈঠক হয়। এরপর তিনি জেলাওয়াড়ি প্রশাসনিক বৈঠক শুরু করেন। জেলার প্রত্যন্ত ব্লকে নবান্নকে নিয়ে হাজির হন। বিভিন্ন কাজের চুলচেরা বিশ্লেষণ হয়। জেলাস্তরে প্রশাসনিক বৈঠকের ফলে কাজের ক্ষেত্রে অনেক সুবিধা হচ্ছে বলে অফিসাররা জানিয়েছেন। তাঁদের মতে, অনেক কাজে জটিলতা থাকে। ওই বৈঠকেই সেসব নিয়ে আলোচনা হয় এবং সমস্যার সমাধান সূত্র বেরিয়ে আসে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেও এই ধরনের বৈঠককে গুরুত্ব দেন। এরপর আগামী ১৩ নভেম্বর, বুধবার তিনি কোচবিহারে যাবেন।