ব্যবসা সূত্রে উপার্জন বৃদ্ধি। বিদ্যায় মানসিক চঞ্চলতা বাধার কারণ হতে পারে। গুরুজনদের শরীর-স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতন ... বিশদ
সরকারি ভর্তুকিতে খাদ্যসামগ্রী পাওয়ার জন্য ডিজিটাল রেশন কার্ড যাঁদের আছে তাঁরাও ভর্তুকিহীন কার্ডের জন্য আবেদন করতে পারবেন। সেক্ষেত্রে তাঁদের ভর্তুকিতে খাদ্যসামগ্রী পাওয়ার কার্ডটি বাতিল হয়ে যাবে। যাঁদের ডিজিটাল রেশন কার্ড নেই, তাঁরাও ১০ নম্বর ফর্মে আবেদন করতে পারবেন। আবেদনকারীদের কাছে ডিজিটাল রেশন কার্ড বা পুরনো কাগজের রেশন কার্ড থাকলে তার নম্বরটি দিতে হবে। ওই কার্ডের ফটোকপি আবেদনপত্রের সঙ্গে জমা দিতে হবে। তার সঙ্গে বয়সের প্রমাণপত্রের ও ভোটার সচিত্র পরিচয়পত্রের ফটোকপি চাওয়া হয়েছে। ফর্মে অবশ্য প্যান, আধার কার্ডের নম্বরও লিখতে হবে। আবেদনকারীর নাম, ঠিকানা, বাবা/মা/স্বামীর নাম ফর্মে উল্লেখ করতে হবে। এই ফর্মের মাধ্যমে লিখিতভাবে জানাতে হবে, আবেদনকারী রাজ্য সরকারের খাদ্য সাথী প্রকল্পের মাধ্যমে সরকারি ভর্তুকির খাদ্য চাইছেন না। তাই তিনি ভর্তুকিহীন রেশন কার্ড চাইছেন।
আগামী ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত রাজ্যজুড়ে যে বিশেষ ক্যাম্প চলবে, সেখানে ভর্তুকিযুক্ত খাদ্যসামগ্রী পাওয়ার রেশন কার্ডের জন্য আবেদন করা যাবে। কিন্তু তার জন্য আবেদনকারীর পারিবারিক আর্থিক অবস্থা খতিয়ে দেখা হবে। যে আবেদনকারীরা ভর্তুকির খাদ্য পাওয়ার রেশন কার্ডের জন্য আবেদন করলেও আর্থিক অবস্থা ভালো হওয়ার জন্য তা পাবেন না, তাঁদের কাছে ভর্তুকিহীন রেশন কার্ড পাঠিয়ে দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করছে খাদ্য দপ্তর। ভর্তুকির খাদ্য পাওয়ার আর্থিক মাপকাঠি সরকার নির্দিষ্ট করে দিয়েছে।
ভর্তুকিহীন রেশন কার্ডটি কী আদলে হবে, তার নমুনাও খাদ্য দপ্তরের ওয়েবসাইটে দেওয়া হয়েছে। কার্ডটি ছোট সাইজের ভোটার সচিত্র পরিচয়পত্রের মতো হবে। এতে নাম, পুরো ঠিকানা, জন্মতারিখ, বাবা/মা/স্বামীর নাম ছাড়াও রেশন ডিলারের নাম ও নম্বর উল্লেখ করা থাকবে। এই পরিপ্রেক্ষিতে রেশন ডিলারদের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, ভর্তুকিহীন রেশন কার্ড গ্রাহকদের জন্য রেশন দোকানে সরকার কী সরবরাহ করবে, সেটা ঘোষণা করা হোক। তা না হলে জটিলতা তৈরি হতে পারে।