আবেগের বশে কোনও কাজ না করাই ভালো। দাম্পত্য জীবনে বনিবনার অভাবে সংসারে অশান্তি বাড়বে। কর্মে ... বিশদ
এদিন বাজেটের উপর আলোচনায় অংশ নেন কংগ্রেসের মইনুল হক, সিপিএমের মহসিন আলি ও আমজাদ হোসেন, তৃণমূলের সমীর জানা, অখিল গিরি ও শ্যামল মণ্ডল। বিরোধীরা বিদ্যুতের দামবৃদ্ধি নিয়ে অভিযোগ করেন। সেই সঙ্গে বিভিন্ন তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে সমস্যা রয়েছে। অনেক জায়গায় নতুন ইউনিট চালু করা যায়নি। ভাঙড়ের সমস্যা তো রয়েই গিয়েছে। তবে ১০০ শতাংশ বাড়িতে বিদ্যুৎ পৌঁছে যাবে, এই প্রতিশ্রুতি দিয়ে শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বলেন, সবার ঘরে আলো দেওয়ার কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। ২০১১ সালে রাজ্যে বিদ্যুৎ গ্রাহকের সংখ্যা ছিল ৮৫ লক্ষ। ২০১৯ সালে তা বেড়ে হয়েছে ১ কোটি ৯১ লক্ষ। এর থেকে বোঝা যায়, গত আট বছরে কী কাজ হয়েছে। এছাড়াও আলোশ্রী প্রকল্পে সব সরকারি দপ্তর ও স্কুল-কলেজের ছাদে সৌরবিদ্যুতের প্যানেল লাগানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
এছাড়াও জবাবি ভাষণে শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বলেন, শিল্পে বিদ্যুৎ ব্যবহারের পরিমাণ ৩৯ শতাংশ বেড়েছে। ৪৮৭টি ইউনিট বিদ্যুৎ সংযোগ চেয়ে আবেদন করেছে। আমাদের ক্ষুদ্র-কুটির শিল্পের ইউনিট অনেক বেড়েছে। যাই হোক বিদ্যুৎ তো লাগবে। তবে কেন্দ্রীয় সরকারের জন্য কাটোয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র এখনও চালু হল না। সেখানে ৯০ শতাংশ জমির সমস্যা মিটে গিয়েছে। তা মিটিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে। তবে পরিবেশ মন্ত্রকের ছাড়পত্র না আসায় এবং কয়লা সরবরাহের যোগাযোগ ব্যবস্থা তৈরি না হওয়ায় তা শুরু হয়নি। এনটিপিসি এটি তৈরি করার কথা বলেছিল। এখন শুনছি, সেখান থেকে অফিসারদের সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। আমি নিজে এর জন্য কেন্দ্রীয় সরকারকে চিঠি দিয়েছি, অথচ কোনও উদ্যোগ নেয়নি কেন্দ্রীয় সরকার। একইরকমভাবে দেউচা পাঁচামি থেকে কয়লা উত্তোলন শুরু করা যায়নি। কেন্দ্রীয় সরকার ৪০০ শতাংশ সেস বাড়ালেও আমরা দাম বাড়াইনি। আমরা ৩০০ ইউনিট পর্যন্ত ভর্তুকি দিই। ২০০১ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত বাম আমলে বিদ্যুতের দাম বেড়েছে ২৬৯.২৮ পয়সা। ২০১১ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত বেড়েছে ১০৭.৩৩ পয়সা। এরপর বলবেন, আমরা বিদ্যুতের দাম বাড়িয়েছি। বিদ্যুৎ নিয়ন্ত্রণ কমিশন প্রস্তাব দিতে পারে। কিন্তু আমরা বাড়াইনি।