নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: মঙ্গলবার মালদ্বীপে এএফসি কাপের দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার প্লে-অফ ম্যাচে মুখোমুখি হওয়ার কথা ছিল বেঙ্গালুরু এফসি ও ঈগলস এফসি’র। ম্যাচটি খেলতে বিএফসি গত শুক্রবার মালদ্বীপের রাজধানীতে পৌঁছয়। এএফসি’র নির্দেশ মতো গোটা টিমের জৈব বলয়ে থাকার কথা। এমনিতেই মালদ্বীপে এখন বিদেশিদের প্রবেশ নিষিদ্ধ। সেই দেশের সরকার গত বৃহস্পতিবার এএফসিকে এই প্রতিযোগিতাটি স্থগিত রাখার অনুরোধ করেছিল। কিন্তু এশিয়ান ফুটবলের শীর্ষ কর্তাদের বিশেষ অনুরোধে শেষ পর্যন্ত টুর্নামেন্টটি করার অনুমতি দেয় মালদ্বীপ প্রশাসন। যদিও শর্ত ছিল রীতিমতো কঠিন। ট্রেনিং ও ম্যাচ ছাড়া হোটেল থেকে বের হওয়ার ব্যাপারে ছিল কঠোর নিষেধাজ্ঞা। কিন্তু বিএফসি’র খেলোয়াড়দের শনিবার মালদ্বীপের হোটেলের সামনে ঘুরে বেড়াতে দেখা যায়। তাঁরা শপিংও করেন। সেই ছবি রবিবার মালদ্বীপের একটি সংবাদপত্রে প্রকাশিত হওয়ার পর হইচই পড়ে যায়। এমনিতে মালদ্বীপের রাজনৈতিক পরিস্থিতিও খুব ভালো নয়। এরপরেই ওই দেশের ক্রীড়ামন্ত্রী মালদ্বীপ ফুটবল সংস্থার কর্তাদের জানিয়ে দেন, ভারতীয় দলটিকে অবিলম্বে দেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করতে। সেই সঙ্গে এএফসিকে অনুরোধ করেন টুর্নামেন্ট আপাতত স্থগিত করে দেওয়ার জন্য। বিএফসির ফুটবলাররা যেভাবে স্বাস্থ্যবিধি ভেঙে রাস্তায় ঘোরাঘুরি করেছেন তাতে এএফসি শীর্ষ কর্তারাও ক্ষুব্ধ। তারা টুর্নামেন্টটি অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করেছেন। ‘ডি’ গ্রুপের খেলা শুরু হওয়ার কথা ছিল ১৪ মে। টুর্নামেন্ট স্থগিত হওয়ায় জুলাই মাসের আগে আর প্রতিযোগিতাটি হচ্ছে না। কারণ জুন মাসে এশিয়ার সব দেশই ২০২২ সালের বিশ্বকাপের বাছাই পর্বে খেলবে।
‘ডি’ গ্রুপে এটিকে মোহন বাগান, মালদ্বীপের মেজিয়া এফসি ছাড়াও ছিল বাংলাদেশের বসুন্ধরা এফসি। তারা ঢাকার শহরতলিতে তিন সপ্তাহ ধরে শিবির করেছিল। গতবছরও করোনার কারণে এএফসি কাপ বাতিল হওয়ায় তারা খেলার সুযোগ পায়নি। এবার দারুণ প্রস্তুতি নিয়েছিল তারা।
করোনার প্রাদুর্ভাবের মধ্যে অল্প সময়ে বিদেশি কোচ, চার ফুটবলার ও পাঁচ সাপোর্ট স্টাফকে রি-গ্রুপ করা এটিকে মোহন বাগানের কাছে ছিল চ্যালেঞ্জের। যদিও তারা বিদেশি ব্রিগেডকে ১১ মে’র মধ্যে মালদ্বীপে রি-গ্রুপ করার ব্যবস্থা করে ফেলেছিলেন। ভারতীয় ব্রিগেডের কোভিড টেস্টও হয়। শেখ সাহিল ও প্রবীর দাস ছাড়া সকলেরই রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। সোমবার ভোরের বিমানে এটিকে মোহন বাগানের মালদ্বীপ উড়ে যাওয়ার কথা ছিল। এএফসি টুর্নামেন্ট বাতিল করায় প্রীতম কোটাল-অরিন্দম ভট্টাচার্যরা হতাশ।