শরীর ভালো যাবে না। সাংসারিক কলহবৃদ্ধি। প্রেমে সফলতা। শত্রুর সঙ্গে সন্তোষজনক সমঝোতা। সন্তানের সাফল্যে মানসিক ... বিশদ
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নিরঞ্জনবাবুর একটি বাইক মেরামতির গ্যারেজ রয়েছে। বছর চারেক আগে তিনি দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুরের ডুমডুমি গ্রামের বাসিন্দা বাসনা রাজবংশীকে বিয়ে করেন। প্রতিবেশীরা জানান, বিয়ের পর সুখে শান্তিতে সংসার করছিলেন তাঁরা। মাস খানেক আগে নিরঞ্জনবাবুর শ্বশুর অসুস্থ হওয়ায় পরই অশান্তির সূত্রপাত হয়। নিরঞ্জনের স্ত্রী বাসনা বাবাকে দেখতে গঙ্গারামপুরের বাড়িতে যান। স্বামী না গেলেও শাশুড়ি মায়ারানিদেবী বউমাকে তাঁর বাপেরবাড়িতে দিতে যান। সাতদিন থাকার পর নবদ্বীপের বাড়িতে একাই ফিরে আসেন মায়ারানিদেবী। মায়ারানিদেবীর বড় ছেলে পাঁচুগোপাল হালদার বলেন, ইদানীং বউমার সঙ্গে বনিবনা হচ্ছিল না ভাইয়ের।
জানা গিয়েছে, মায়ারানিদেবী স্থানীয় জাতীয় বিদ্যালয় স্কুলে মিড ডে মিলের রান্নার কাজ করতেন। এদিন দুপুরে মায়ারানিদেবী রান্নার কাজে না যাওয়ায়, তাঁর স্কুলের সহকর্মীরা বাড়িতে খোঁজ করতে এসে দেখেন, তিনি নিজের ঘরে গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলছেন। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, মায়ের এই অবস্থা দেখে সহ্য করতে পারেননি নিরঞ্জন। এরপর তিনিও নিজের ঘরে গিয়ে সিলিং ফ্যানে গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলে পড়েন। খবর পেয়ে মায়াদেবীর ভাই নন্দ হালদার ও বড় ছেলে পাঁচুগোপাল বাড়িতে আসেন। স্থানীয় বাসিন্দাদের সাহায্যে তাঁরা নিরঞ্জনের ঘরের দরজা ভেঙে তাঁকে উদ্ধার করে। পাশাপাশি মায়ারানিদেবীকেও উদ্ধার করা হয়। দু’জনকেই নবদ্বীপ স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।