আবেগের বশে কোনও কাজ না করাই ভালো। দাম্পত্য জীবনে বনিবনার অভাবে সংসারে অশান্তি বাড়বে। কর্মে ... বিশদ
পুলিস জানিয়েছে, সোমবার সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ উপপ্রধানের বাড়িতে ৪০-৫০জন লাঠি, রড, বোমা প্রভৃতি নিয়ে হামলা চালায়। হামলাকারীরা বাড়িতে ঢুকে উপপ্রধানের স্ত্রী ও ছেলেকে মারধর করে। পাশের বাড়ির লক্ষ্মীরানি ঘোষ ও মাধবীদেবীর ভাই সুকান্ত পাল হামলাকারীদের বাধা দিলে তাঁদেরও মারধর করা হয়। উপপ্রধানের ছেলে সুমন ঘোষকেও মারধর করা হয়। তাঁর পকেটে থাকা ১ হাজার ১০০ টাকা কেড়ে নেয় হামলাকারীরা। ঘরের মিটার বক্স ও জলের পাইপ লাইন ভেঙে দেওয়া হয়। আশপাশের লোকজন এলে হামলাকারীরা বোমা ফাটাতে ফাটাতে চলে যায়। হামলার বিষয়ে উপপ্রধানের স্ত্রী গলসি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
অন্যদিকে, দেওয়ানদিঘি থানার নিত্যানন্দপুরে শ্বশুরবাড়িতে গৃহবধূর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হওয়ার ঘটনায় তাঁকে খুনের অভিযোগে শ্বশুরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিস। ধৃতের নাম মোক্তার মোল্লা। মৃতার নাম আনারকলি খাতুন(২২)। মন্তেশ্বর থানার পানবড়েয়া গ্রামে তাঁর বাপেরবাড়ি। মঙ্গলবার রাতে মেমারি থানার সোনোরা গ্রাম থেকে পুলিস মোক্তারকে গ্রেপ্তার করে। বুধবার ধৃতকে বর্ধমান আদালতে পেশ করা হয়। ধৃতকে দু’দিন পুলিসি হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন ভারপ্রাপ্ত সিজেএম।
পুলিস জানিয়েছে, বছর চারেক আগে আনারকলির সঙ্গে মোক্তার মোল্লার বড় ছেলে হাকিম মোল্লার বিয়ে হয়েছিল। আনারকলির একটি দু’বছরের মেয়ে আছে। বিয়েতে চাহিদামতো পণ দেওয়া হয়েছিল। তা সত্ত্বেও বিয়ের কিছুদিন পর থেকে শ্বশুরবাড়িতে আনারকলির উপর নির্যাতন শুরু হয়। অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে মাঝেমধ্যেই বাপেরবাড়িতে চলে যেতেন আনারকলি। গত ১২ জুন তিনি বাপেরবাড়িতে ছিলেন। স্বামী ফোন করে তাঁকে আসতে বলে। সেদিনই সকাল ৯টা নাগাদ বাবার সঙ্গে তিনি শ্বশুরবাড়িতে ফেরেন। গভীর রাতে ঘর থেকে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। তাঁকে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে বলে মৃতার বাবা আনোয়ার মল্লিক পুলিসে অভিযোগ দায়ের করেন। তার ভিত্তিতে বধূ নির্যাতন ও খুনের ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিস।