আত্মীয়স্বজন, বন্ধু-বান্ধব সমাগমে আনন্দ বৃদ্ধি। চারুকলা শিল্পে উপার্জনের শুভ সূচনা। উচ্চশিক্ষায় সুযোগ। কর্মক্ষেত্রে অযথা হয়রানি। ... বিশদ
তৃণমূলের জেলা সভাপতি মৃদুল গোস্বামী বলেন, আমরা ভোটের আগে সংবাদপত্রে দেখেছি মোহন শর্মা, পাশাং ডিকি শেরপা ও পদ্মা রায় জেলা পরিষদের এই তিন সদস্য তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। যা দলত্যাগ বিরোধী আইন লঙ্ঘনের শামিল। সেই জন্যই ওই তিন জেলা পরিষদ সদস্যের সদস্য পদ খারিজের জন্য আইনি পদক্ষেপের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। তার জন্য রাজ্য কমিটির অনুমোদন দরকার। এই অনুমোদনের জন্য রাজ্য কমিটির কাছে সুপারিশ পাঠানো হচ্ছে।
যদিও এবিষয়ে মোহনবাবুর প্রতিক্রিয়া জানতে মঙ্গলবার তাঁর মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন করা হয়। কিন্তু মোহনবাবু ফোন ধরেননি। মোহনবাবু ঘনিষ্ঠ জেলা পরিষদ সদস্য পদ্মা রায় অবশ্য বলেন, এবিষয়ে আমি একটি কথাও বলব না। এবিষয়ে সময় হলে মোহনবাবুই যা বলার বলবেন।
আলিপুরদুয়ার জেলা পরিষদের মোট সদস্য সংখ্যা ১৮ জন। তারমধ্যে ২০১৮ সালের ত্রিস্তর পাঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূল একাই পেয়েছিল ১৭টি আসন। একটি আসন পেয়েছিল বিজেপি। ভোটের পরে পরিষদের সভাধিপতি হন শীলা দাস সরকার ও সহকারী সভাধিপতি হন মনোরঞ্জন দে। আর মোহনবাবুকে দেওয়া হয় পরিষদের মেন্টর পদ। এরমধ্যে গত বছর করোনায় মারা যান তৃণমূলের একজন জেলা পরিষদ সদস্য সন্তোষ বর্মন।
পরিষদে তৃণমূলের ১৬ জন সদস্যের মধ্যে ছ’জন সদস্য যদি দলত্যাগ করতেন তাহলে তাঁদের কাউকেই দলত্যাগ বিরোধী আইনের কোপে পড়তে হতো না। কিন্তু পাশাং ডিকি শেরপা, পদ্মা রায় ও মোহন শর্মা ছাড়া তৃণমূলের আর কোনও জেলা পরিষদ সদস্য দল ছাড়েননি।
সেই জন্য ভোটপর্ব মিটতেই তৃণমূলের নীচুতলায় দাবি উঠেছে দ্রুত দলত্যাগ বিরোধী আইনে মোহন শর্মা সহ জেলা পরিষদের তিন দলবদলুর সদস্য পদ খারিজ করা হোক। অবশেষে তৃণমূলের জেলা নেতৃত্ব সেই প্রক্রিয়া শুরু করল।