আত্মীয়স্বজন, বন্ধু-বান্ধব সমাগমে আনন্দ বৃদ্ধি। চারুকলা শিল্পে উপার্জনের শুভ সূচনা। উচ্চশিক্ষায় সুযোগ। কর্মক্ষেত্রে অযথা হয়রানি। ... বিশদ
২০১১ সালে তৃণমূল কংগ্রেস প্রথামবার রাজ্যে সরকার গঠন করে। সেবার ইসলামপুরের বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরী জনশিক্ষা ও গ্রন্থাগার মন্ত্রী ছিলেন। ২০১৬ সালের নির্বাচনে করিম সাহেব পরাজিত হন। ওই বছর গোলাম রব্বানি প্রথম রাষ্ট্রমন্ত্রীর পদ পান। প্রথমে তিনি পঞ্চায়েত দপ্তরের রাষ্ট্রমন্ত্রী হন। পরে তাঁকে পঞ্চায়েত দপ্তর থেকে সরিয়ে শ্রমদপ্তরের রাষ্ট্রমন্ত্রী করা হয়। কিন্তু, এবারই প্রথম তিনি পূর্ণমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পেলেন। যদিও মন্ত্রী হওয়ার পর প্রতিক্রিয়া জানতে গোলাম রব্বানিকে টেলিফোন করা হলেও তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।
দলীয় সূত্রে খবর, আব্দুল করিম চৌধুরীকে অতিরিক্ত ডেপুটি স্পিকার করার সম্ভাবনা রয়েছে। তৃণমূলের জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল বলেন, গোলাম রব্বানি জেলা থেকে পূর্ণমন্ত্রী হয়েছেন। আমি তাঁকে শুভেচ্ছা জানাই। জেলায় ব্যাপক উন্নয়নমূলক কাজ হবে। আমরা দলের নেতা-কর্মীরাও সকলেই খুশি।
আব্দুল করিম চৌধুরী বলেন, গোলাম রব্বানি আগেও মন্ত্রী ছিলেন। এবার পূর্ণমন্ত্রী হয়েছেন। আমার বিশ্বাস, তাঁর হাত ধরে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কাজে ব্যাপক উন্নয়ন হবে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমার ব্যাপারে চিন্তাভাবনা করেছেন। আমাকে অতিরিক্ত ডেপুটি স্পিকার পদ দেওয়ার বিষয়ে তিনি ভাবছেন।
চোপড়া, ইসলামপুর, গোয়ালপোখর ও চাকুলিয়া সহ উত্তর দিনাজপুর জেলার বিভিন্ন এলাকায় প্রচুর সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষের বাস। তাঁদের উন্নয়নের জন্য রাজ্য সরকারের সংখ্যলঘু দপ্তর থেকে অনেক কাজ করার সুযোগ রয়েছে। রব্বানি সাহেব যেহেতু সংখ্যলঘু বিষয়ক দপ্তরের মন্ত্রী এবং তিনি নিজেও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ, তাই এই কাজ তিনি আরও ভালোভাবে করতে পারবেন বলে জেলাবাসী আশা করছেন। সেই সঙ্গে অনেক মাদ্রাসা ওইসব এলাকায় রয়েছে। মাদ্রাসাগুলিতে প্রচুর ছাত্রছাত্রী পড়ে। এবার সেগুলির পরিকাঠামো উন্নয়ন থেকে অন্যান্য সমস্যার সমাধান করার ক্ষেত্রেও কাজ করতে পারবেন রব্বানি সাহেব। যা এলাকার শিক্ষার প্রসারে সহায়ক হবে। এবারের বিধানসভা নির্বাচনে রব্বানি সাহেব দলের তারকা প্রচারক ছিলেন। গৌড়বঙ্গের তিন জেলার অনেকগুলি আসনের দায়িত্বে ছিলেন তিনি। কিন্তু, নির্বাচনের কয়েকদিন আগে করোনা আক্রান্ত হওয়ায় শেষলগ্নে প্রচার করতে পারেননি। ফাইল চিত্র