নয়াদিল্লি: শনিবার শপথ নিয়েছিলেন। সোমবার আনুষ্ঠানিকভাবে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করলেন আতিশী। এদিন অবশ্য মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তরে আপ সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়ালের ব্যবহৃত চেয়ারে বসেননি তিনি। পাশের একটি সাদা চেয়ারে বসতে দেখা যায় তাঁকে। ভরতের উদাহরণ টেনে আতিশী জানিয়ে দিয়েছেন, কেজরিওয়ালের চেয়ার ফাঁকা রাখা হবে। আতিশী বলেন, ‘সিংহাসনে শ্রী রামচন্দ্রের খড়ম রেখে রাজত্ব চালিয়েছিলেন ভরত। সেভাবেই আগামী চার মাস দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব সামলাব। ইস্তফা দিয়ে স্বচ্ছ রাজনীতির উদাহরণ সৃষ্টি করেছেন কেজরিওয়াল। তাঁকে কালিমালিপ্ত করতে বিজেপি কোনও চেষ্টা বাকি রাখেনি।’ তিনি আরও বলেন, ‘কেজরিওয়ালকে জামিন দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। অন্য কেউ হলে কিছু না ভেবেই মুখ্যমন্ত্রী পদে থেকে যেতেন। কিন্তু কেজরিওয়াল তা করেননি।’
কেজরির আসন খালি রাখা নিয়ে আতিশীকে কটাক্ষ করেছে গেরুয়া শিবির। দিল্লির বিজেপি প্রধান বীরেন্দ্র সচদেবের তোপ, ‘আতিশী যা করেছেন তাতে শুধুমাত্র মুখ্যমন্ত্রী পদেরই অসম্মান করা হয়নি, সেইসঙ্গে দিল্লিবাসীর ভাবাবগেও আঘাত করা হয়েছে। কেজরিওয়াল কি তাহলে রিমোট কন্ট্রোলের সাহায্যে সরকার পরিচালনা করবেন?’
আবগারি দুর্নীতি মামলায় জামিন পাওয়ার পরেই মুখ্যমন্ত্রিত্ব থেকে ইস্তফা দেন কেজরিওয়াল। তাঁর স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন আতিশী। শিক্ষা, রাজস্ব সহ ১৩টি দপ্তর নিজের হাতেই রেখেছেন রাজধানীর নয়া মুখ্যমন্ত্রী।
সোমবার দায়িত্ব নেওয়ার পর মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তরে আতিশী। -পিটিআই