আত্মীয়স্বজন, বন্ধু-বান্ধব সমাগমে আনন্দ বৃদ্ধি। চারুকলা শিল্পে উপার্জনের শুভ সূচনা। উচ্চশিক্ষায় সুযোগ। কর্মক্ষেত্রে অযথা হয়রানি। ... বিশদ
মৃত্যুর খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে যান গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সাওয়ান্ত। সেখানে তিনি বলেন, মেডিক্যাল অক্সিজেন মজুত এবং কোভিড ওয়ার্ডে তা সরবরাহের মধ্যে ফাঁক রয়েছে, যা রোগী মৃত্যুর কারণ হতে পারে। তারপরেই এই ঘটনায় হাইকোর্টের তত্ত্বাবধানে তদন্ত দাবি করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। বিশ্বজিৎ রানে বলেছেন, আদালত হস্তক্ষেপ করে মেডিক্যাল কলেজে অক্সিজেন সরবরাহ নিয়ে শ্বেতপত্র প্রকাশ করুক। এর আগে সোমবার গোয়া মেডিক্যাল কলেজ পরিদর্শন করেন তিনি। সেখানে রোগী ও পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন। সেখানেই হাসপাতালে অক্সিজেন সরবরাহের অভাবের কথা স্বীকার করে নেন রানে। স্বাস্থ্যমন্ত্রীর কথায়, সোমবার পর্যন্ত মেডিক্যাল কলেজে ১২০০টি অক্সিজেন সিলিন্ডার আসার কথা ছিল, পরিবর্তে এসেছে মাত্র ৪০০টি। তারপরেই তিনি অক্সিজেন সরবরাহ নিয়ে এই ফাঁক মেটাতে আলোচনার আশ্বাস দেন।
অন্যদিকে, অক্সিজেন আসতে দেরি হওয়ায় অন্ধ্রপ্রদেশে প্রাণ হারালেন ১১জন করোনা রোগী। সোমবার ঘটনাটি ঘটেছে তিরুপতির শ্রী ভেঙ্কটেশ্বর রামনারায়ণ রুইয়া হাসপাতালে। অভিযোগ, ৪৫ মিনিট অক্সিজেন সরবরাহে সমস্যা হওয়ায় আইসিইউতে থাকা রোগীরা অক্সিজেন পাননি। ফলে তাঁরা ধুঁকতে ধুঁকতে মারা গিয়েছেন। যদিও জেলাশাসক এম হরিনারায়ণ বলেন, অক্সিজেন সরবরাহ মাত্র কয়েক মিনিট বন্ধ ছিল। চেন্নাই থেকে অক্সিজেন ট্যাঙ্কার আসতে দেরি হওয়ায় এই দুর্ঘটনা। আরও বড় বিপর্যয় ঘটতে পারতো। চিকিৎসকদের তৎপরতায় তা এড়ানো গিয়েছে। এই ঘটনার পরেই রোগীর আত্মীয়রা হাসপাতালে চড়াও হয় বলে অভিযোগ। অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী জগন্মোহন রেড্ডি উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, অক্সিজেন ফুরিয়ে গিয়েছিল তা নয়, আসল সমস্যা ছিল সাপ্লাইয়ের। কয়েক মিনিটের মধ্যেই পরিস্থিতি ঠিক হয়ে যায়।