সামাজিক কল্যাণ কর্মে সাফল্য ও জনখ্যাতি। বাতজ সমস্যায় বিব্রত হতে পারেন। কাজ কারবারে শুভ। ... বিশদ
কমিশনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, বিকেল ৫টা পর্যন্ত সাতটি কেন্দ্রে গড়ে ভোট পড়েছে ৭৩ শতাংশ। সবচেয়ে বেশি ভোট পড়েছে আরামবাগে—৭৬.৯০ শতাংশ। আর সবচেয়ে কম ৬৮.৮৪ শতাংশ ভোট পড়েছে বারাকপুর ও হাওড়া কেন্দ্রে। রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আরিজ আফতাব বলেন, ‘ভোট শান্তিপূর্ণ হয়েছে। তেমন কোনও ঘটনা ঘটেনি। ভোটপর্বে গোলমাল পাকানোর অভিযোগে এই সাতটি কেন্দ্রে ৯০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সবচেয়ে বেশি ৪৭ জন গ্রেপ্তার হয়েছে হুগলি লোকসভা কেন্দ্রের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে।’ এদিনের ভোট ঘিরে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মোট ৫৮৪টি অভিযোগ জমা পড়েছিল কমিশনে। সবচেয়ে বেশি অভিযোগ জমা পড়ে ‘ফিরলে লাল, ফিরবে হাল’-এর প্রচারক সিপিএমের তরফে—২৪৫টি। তারপরই রয়েছে বিজেপি। তাদের তরফে ১৪২টি অভিযোগ করা হয়েছে। রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল ৭২টি এবং কংগ্রেসের তরফে মাত্র দু’টি অভিযোগ জমা দেওয়া হয়। নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, আবহাওয়া দপ্তরের তরফে ঝড়-বৃষ্টির পূর্বাভাস ছিল। সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ায় ভোট প্রক্রিয়া ব্যাহত হয়নি।
পঞ্চম দফার ভোটপর্বে নিরাপত্তার জন্য যে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা রাজ্যে এসেছেন, তাঁদের একাংশের বিরুদ্ধে স্থানীয় মহিলাদের শ্লীলতাহানি করার অভিযোগকে ঘিরে ইতিমধ্যেই উত্তপ্ত উলুবেড়িয়া। সেই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হয়েছে জাঙ্গিপাড়ায়। রবিবার রাতে শ্রীরামপুর লোকসভার জাঙ্গিপাড়া বিধানসভার বিড়লা হাইস্কুল বুথ এলাকায় এক মহিলার শ্লীলতাহানির অভিযোগ ওঠে আইটিবিপি’র এক জওয়ানের বিরুদ্ধে। মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক জানিয়েছেন, অভিযুক্ত জওয়ানকে গাছে বেঁধে রেখেছিলেন স্থানীয়রা। কমিশনের নজরে বিষয়টি আসার পর ভোটগ্রহণ পর্ব থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনীর পুরো দলকে সরিয়ে দেওয়া হয়। এদিন ভোট চলাকালীন এক মহিলা পোলিং এজেন্টের শ্লীলতাহানির অভিযোগে হাওড়ার বালির ১৭৬ নম্বর বুথের এক প্রিসাইডিং অফিসারকে সরিয়ে দেয় কমিশন।
এদিনের ভোটে নজরকাড়া আসনগুলির মধ্যে অন্যতম ছিল বারাকপুর। গতবারের বিজয়ী বিজেপি সাংসদ ‘বাহুবলী’ অর্জুন সিংয়ের সঙ্গে তৃণমূলের অন্যতম সংগঠক পার্থ ভৌমিকের লড়াই নজরে ছিল কমিশনেরও। তবে ‘স্বঘোষিত গড়ে’ এদিন যেভাবে দফায় দফায় জনবিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছে অর্জুনকে, তা নিয়ে যথেষ্ট উদ্বেগে রয়েছে গেরুয়া শিবির। ভোট করাতে বেরিয়ে সকালে কাঁচরাপাড়া থেকে শুরু করে শ্যামনগরের কাউগাছি, টিটাগড় এবং সন্ধ্যার মুখে বারাকপুরের মণিরামপুর পর্যন্ত সব জায়গায় কখনও ‘গো-ব্যাক’ আবার কখনও ‘ভাগ অর্জুন ভাগ’ স্লোগান শুনেই দিন কেটেছে বিজেপি প্রার্থীর। কাঁচরাপাড়ায় মহিলা বিক্ষোভের মুখে মেজাজ হারিয়ে গালিগালাজ দিতেও শোনা গিয়েছে বিজেপি প্রার্থীকে। টিটাগড়ে বিক্ষোভ থেকে অর্জুনকে মুক্ত করতে লাঠি চালিয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। হুগলির বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায়কেও ধনেখালি এবং চন্দননগরে তুমুল বিক্ষোভ সামলাতে হয়েছে। শান্তিপূর্ণ ভোটপর্বে বনগাঁ লোকসভার বিজেপি প্রার্থী শান্তনু ঠাকুরকে কল্যাণী বিধানসভার গয়েশপুরে কেন্দ্রীয় বাহিনীর ‘ভূমিকা’য় উষ্মা প্রকাশ করতে দেখা গিয়েছে।