ব্যবসা সূত্রে উপার্জন বৃদ্ধি। বিদ্যায় মানসিক চঞ্চলতা বাধার কারণ হতে পারে। গুরুজনদের শরীর-স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতন ... বিশদ
অনলাইনে আবেদন করলে নতুন কার্ড করা ও পুরনো কার্ড ছেড়ে দেওয়ার সংখ্যা খাদ্য দপ্তর সঙ্গে সঙ্গে জেনে যাচ্ছে। এদিন বিকেল ৩টে পর্যন্ত অনলাইনের যে পরিসংখ্যান পাওয়া গিয়েছে, তাতে দেখা যাচ্ছে, ভর্তুকিতে খাদ্যসামগ্রী পাওয়ার কার্ড ছেড়ে দেওয়া সংক্রান্ত ১৮৩টি আবেদন জমা পড়েছে। ওই আবেদনগুলির মধ্যে একই পরিবারের অনেকের নাম থাকায় সেই মোট সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৪৮। জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা প্রকল্পের আওতায় অন্ত্যোদয় অন্ন যোজনার কার্ড ছাড়ার জন্য মোট আটজনের আবেদন জমা পড়েছে। জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা প্রকল্পের পিএইচএইচ এবং এসপিএইচএইচ শ্রেণীর কার্ড ছাড়ার আবেদন করেছেন যথাক্রমে ১৩৮ এবং ৯৮ জন। রাজ্য খাদ্য সুরক্ষা প্রকল্পের এক এবং দুই নম্বর শ্রেণীর কার্ড ছাড়ার আবেদন করেছেন যথাক্রমে ১২২ এবং ৮২ জন। খাদ্য দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন বিকেল ৩টে পর্যন্ত ভর্তুকিতে খাদ্যসামগ্রী পাওয়ার ডিজিটাল কার্ড নেই, এমন ভর্তুকিহীন কার্ড পাওয়ার আবেদন জমা পড়েছে ১,৫৩৩টি । এখানে আবেদনকারীর সংখ্যা ৪,৫৮৪ জন।
রাজ্য খাদ্য সুরক্ষা প্রকল্পের দুই নম্বর শ্রেণীর কার্ড ছাড়া বাকি ডিজিটাল কার্ডগুলিতে দু’টাকা কেজি দরে চাল ও গম দেওয়া হয়। মাসে মাথাপিছু পাঁচ কেজি করে এমন খাদ্যশস্য দেওয়া হয়। অন্ত্যোদয় কার্ডে চাল-গমের সঙ্গে পরিবারপিছু মাসে ৫০০ গ্রাম করে চিনি ১৩ টাকা ৫০ পয়সা দরে দেওয়া হয়। দুই নম্বর রাজ্য খাদ্য সুরক্ষা প্রকল্পে মাসে মাথাপিছু এক কেজি করে চাল ও গম বরাদ্দ করা হয়। দাম যথাক্রমে ১৩ ও ৯ টাকা। এই কার্ডগুলিতে ভর্তুকিতে খাদ্য সরবরাহ করার আর্থিক দায় নেয় কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার। রাজ্যে জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা প্রকল্পের কার্ড আছে ৬ কোটি ১ লক্ষ। রাজ্য খাদ্য সুরক্ষা প্রকল্পের কার্ডের সংখ্যা এখন ৩ কোটি ১০ লক্ষের মতো।
ভর্তুকিতে খাদ্যসামগ্রীর রেশন কার্ড পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট আর্থ-সামাজিক মাপকাঠি আগেই নির্ধারণ করে দিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। কোন ক্ষেত্রে এই কার্ড পাওয়া যাবে না, সেটাও নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছিল। রাজ্য সরকারও সেটা গ্রহণ করে নিয়েছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও বহু সম্পন্ন পরিবারের কাছে ভর্তুকিতে খাদ্যসামগ্রী পাওয়ার কার্ড যে চলে গিয়েছে, তা খাদ্য দপ্তরের কর্তারাও স্বীকার করেন।
সম্পন্ন পরিবারগুলিকে স্বেচ্ছায় ভর্তুকির খাদ্যসামগ্রী পাওয়ার কার্ড ছেড়ে দেওয়ার জন্য যে আহ্বান জানানো হয়েছে, তাতে প্রথম দিনে অল্প হলেও সাড়া মিলেছে। বিশেষ শিবিরে ১০ নম্বর ফর্ম জমা পড়ছে। সেখানকার হিসেবও খাদ্য দপ্তরে চলে আসবে। খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক জানিয়েছেন, জাতীয় প্রকল্পের সুবিধা প্রাপকদের কোটা নির্দিষ্ট। যে কার্ডগুলি ছাড়া হবে, তার জায়গায় নতুন করে গরিব মানুষকে জাতীয় প্রকল্পের কার্ড দেওয়া যাবে। যাঁরা খাদ্যসামগ্রী পাওয়ার ডিজিটাল কার্ড ছাড়ছেন, তাঁদের ওই কার্ডটি ফেরত দেওয়ার প্রয়োজন নেই। ওই কার্ডগুলি বাতিল করে তার বরাদ্দ বন্ধ করে দেওয়া হবে। ভর্তুকিহীন রেশন কার্ড আবেদনকারীর বাড়ির ঠিকানায় পৌঁছে যাবে।