ব্যবসা সূত্রে উপার্জন বৃদ্ধি। বিদ্যায় মানসিক চঞ্চলতা বাধার কারণ হতে পারে। গুরুজনদের শরীর-স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতন ... বিশদ
রোজভ্যালির অনৈতিক কাজকর্ম তদানীন্তন বাম সরকারের নজরে আসে। ইকোনমিক অফেন্স এই নিয়ে প্রাথমিক খোঁজখবরও করে। তাতে গৌতম কুণ্ডুর সংস্থার বিরুদ্ধে বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসে। তাদের তরফে বিষয়টি জানানো হয় বাম সরকারের অর্থমন্ত্রীকে। তিনি তড়িঘড়ি উদ্যোগ নেন। কলকাতা পুলিসকে বিষয়টি নিয়ে খোঁজ নিতে বলেন। সেই সঙ্গে কী কী অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে, তাও জানানো হয় তাঁর তরফে। এই সংক্রান্ত কিছু নথিও জমা দেওয়া হয়। ওই সময়ে কলকাতা পুলিসে গোয়েন্দা প্রধান ছিলেন দময়ন্তী সেন। স্বাভাবিক নিয়মেই তাঁকেই এই বিষয়টি দেখতে বলা হয়। গোয়েন্দা বিভাগকে রোজভ্যালির বিরুদ্ধে তদন্তে শুরু করতে বলেন তিনি।
রোজভ্যালির বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করার পর সিবিআই জানতে পারে, এই সংস্থারর বিরুদ্ধে অনেক দিন আগে থেকেই অভিযোগ আসছিল। এই নিয়ে বাম জমানাতেও খোঁজখবর শুরু হয়েছিল। কলকাতা পুলিস এই নিয়ে কাজ করছিল। সেই সময়ে কে গোয়েন্দা প্রধান ছিলেন, তার তথ্য জোগাড় করা হয়। দেখা যায়, দময়ন্তী সেন ওই পদে ছিলেন। এরপরই তাঁর সঙ্গে কথা বলার সিদ্ধান্ত নেন তদন্তকারী অফিসাররা। সেইমতো তাঁর কাছে বার্তা পাঠানো হয়। তদানীন্তন গোয়েন্দা প্রধান জানান, সিবিআইয়ের সঙ্গে কথা বলতে রাজি। তবে তাদের বাড়িতে আসতে অনুরোধ করা হয়। সেইমতো সোমবার বিকেলে তদন্তকারী অফিসাররা তাঁর বাড়িতে যান। সঙ্গে ছিলেন মহিলা অফিসারও। রোজভ্যালির বাজার থেকে টাকা তোলার বিষয়ে কী তথ্য পেয়েছিল, কটি অভিযোগ জমা পড়েছিল, এই সংক্রান্ত বিষয় তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হয়। তিনি এই নিয়ে বিস্তারিত তথ্য দেন। পাশাপাশি জানান, গোয়েন্দা বিভাগকে এই বিষয়টি দেখার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। তারা তথ্য জোগাড়ের কাজ শুরু করেছিল। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার এক আধিকারিকের কথায়, তিনি গোটা বিষয়টি অত্যন্ত স্বচ্ছভাবে বুঝিয়ে দিয়েছেন। কোথাও কোনও ফাঁক নেই। ওই সময়ে গোয়েন্দা বিভাগে কর্মরত ইন্সপেক্টরকে মঙ্গলবার ডেকে পাঠিয়ে তথ্য নেন সিবিআইয়ের অফিসাররা। এই সংক্রান্ত নথি তাঁর কাছ থেকে চাওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।