সামাজিক কল্যাণ কর্মে সাফল্য ও জনখ্যাতি। বাতজ সমস্যায় বিব্রত হতে পারেন। কাজ কারবারে শুভ। ... বিশদ
মঙ্গলবার কলকাতা পুলিসের যুগ্ম কমিশনার (সদর) মিরাজ খালিদ কলকাতার সব থানার ওসি, ডিসি এবং যুগ্ম কমিশনারদের এক লিখিত নির্দেশিকায় বলেছেন, কলকাতার সব মেডিক্যাল কলেজ ও সরকারি হাসপাতালের বেসরকারি নিরাপত্তা রক্ষীদের ধাপে ধাপে ট্রেনিং দেবে কলকাতা পুলিস। আপাতত ঠিক হয়েছে, প্রথম পর্যায়ে তাঁদের তিনদিনের ট্রেনিং দেওয়া হবে।
কলকাতা পুলিসের অতিরিক্ত পুলিস কমিশনার-৫ অশেষ বিশ্বাস, যুগ্ম কমিশনার (ট্রেনিং) মেহমুদ আখতার এবং যুগ্ম কমিশনার (সংগঠন) অজয় প্রসাদ এই ট্রেনিংয়ের ‘মডিউল’ তৈরির দায়িত্বে রয়েছেন। ওই নির্দেশিকায় কলকাতা পুলিসের সমস্ত ডিভিশনের ডিসিদের বলা হয়েছে, তাঁরা নিজের নিজের ডিভিশনের মেডিক্যাল কলেজ ও সরকারি হাসপাতালে কর্মরত বেসরকারি নিরাপত্তা রক্ষীদের নামের তালিকা তৈরি করে পাঠাবেন। পাশাপাশি, কবে কোথায় কোন ব্যাচের ট্রেনিং হবে, তা নিশ্চিত করতে ডিভিশনের ডিসিরা যুগ্ম কমিশনার (ট্রেনিং) মেহমুদ আখতারের সঙ্গে সমন্বয় রেখে চলবেন।
উল্লেখ্য, ১৭ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্টে আর জি কর কাণ্ডের শুনানির সময় কলকাতা শহরের মেডিক্যাল কলেজ ও সরকারি হাসপাতালের নিরাপত্তা নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেছিলেন প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ। বিশেষ করে, বিচারপতিরা চুক্তিতে নিযুক্ত বেসরকারি নিরাপত্তা রক্ষীর দক্ষতা, সততা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। তারপরই কলকাতা পুলিসের এই পদক্ষেপ তাৎপর্যপূর্ণ।
রাজ্য পুলিসের এলাকায় সমস্ত সরকারি হাসপাতালে পুলিস ফাঁড়ি নেই। কিন্তু কলকাতা শহরের মেডিক্যাল কলেজগুলির মাথায় অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার (ডিএসপি) পদমর্যাদার ও সরকারি হাসপাতালে ইনসপেক্টর পদমর্যদার অফিসারের নেতৃত্বে পুলিস ফাঁড়ি রয়েছে। এমনকী যে আর জি কর নিয়ে এত বিতর্ক, সেখানেও অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার (ডিএসপি) পদমর্যাদার অফিসারের নেতৃত্বে একটি পুলিস ফাঁড়ি রয়েছে। সাম্প্রতিক অতীতে কলকাতার মেডিক্যাল কলেজ ও সরকারি হাসপাতালে রোগী মৃত্যুর পর কয়েকটি তাণ্ডবের ঘটনার পর নিরাপত্তা সংক্রান্ত একাধিক পদক্ষেপ করা হয়েছিল। তাই বলে, সরকারি হাসপাতালের বেসরকারি রক্ষীদের পুলিস-ট্রেনিং— সত্যিই অভিনব।