সামাজিক কল্যাণ কর্মে সাফল্য ও জনখ্যাতি। বাতজ সমস্যায় বিব্রত হতে পারেন। কাজ কারবারে শুভ। ... বিশদ
৯ আগস্ট আর জি করে মহিলা চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনা ঘটে। সেই ঘটনার প্রতিবাদে ১৪ আগস্ট রাত দখলের ডাক দিয়েছিল সাধারণ মানুষ। সেদিনই রাতে আর জি করে ঢুকে ভাঙচুর চালায় দুষ্কৃতীরা। হাইকোর্টের নির্দেশে সিবিআই তদন্তভার নেওয়ার পর থেকে ‘ব্যাকফুটে’ কলকাতা পুলিস। ধর্ষণ, খুনের ঘটনায় তথ্যপ্রমাণের লোপাটের জেরে গ্রেপ্তার হন টালা থানার তৎকালীন অফিসার ইন-চার্জ অভিজিৎ মণ্ডল। তৎকালীন পুলিস কমিশনার বিনীত গোয়েল সেই ঘটনার পর কোনও বক্তব্য দেননি। শুধু তাই নয়, প্রাক্তন ওসিকে আদালতে পেশ করা হলেও কলকাতা পুলিসের তরফে কোনও আইনজীবীর ব্যবস্থা করা হয়নি। এর জেরে ফোর্সের নিচুতলায় তীব্র ক্ষোভের সঞ্চার হয়। তবে লালবাজারের দায়িত্ব নিয়েই উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের ফোর্সের মনোবল তুলে ধরার নির্দেশ দেন মনোজ ভার্মা। এরপরেই নবান্ন অভিযানের দিন গুরুতর জখম হয়ে দৃষ্টিশক্তি হারাতে বসা ইস্ট ডিভিশনের সার্জেন্ট দেবাশিস চক্রবর্তীকে দেখতে যান সিপি। ওই ঘটনায় জখম হয়েছিলেন আরও ৩৫ জন নিচুতলার কর্মী। তাঁদের এদিন লালবাজারে ডেকে পাঠানো হয়। তাঁদের চিকিৎসার যাবতীয় ব্যবস্থা করে দেওয়া হয় কলকাতা পুলিসের তরফে।
অন্যদিকে, প্রতিবছর দুর্গাপুজোর প্রায় মাসখানেক আগে উদ্যোক্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন পুলিস কমিশনার। একাধিক বিষয়ে বার্তাও দেন সিপি। তবে চলতি বছরে পরিস্থিতি ভিন্ন। পুলিসের ইন্টেলিজেন্স রিপোর্ট বলছে, পুজোর আবহে কোনও উস্কানির জেরে আর জি করের ‘জাস্টিস’ চেয়ে পথে নামতে পারেন কেউ কেউ। তাই বাড়তি সতর্ক কলকাতা পুলিস। সেই নিয়ে পুজো উদ্যোক্তাদের মনোজ ভার্মা কোনও বার্তা দেন কি না সেটাই দেখার। একইসঙ্গে, পুজো প্যান্ডেলগুলিতে পর্যাপ্ত সিসি ক্যামেরা ইনস্টল করার কথা জানাতে পারেন লালবাজরের শীর্ষ কর্তা।