সামাজিক কল্যাণ কর্মে সাফল্য ও জনখ্যাতি। বাতজ সমস্যায় বিব্রত হতে পারেন। কাজ কারবারে শুভ। ... বিশদ
বিজেপি শিবিরের বিশ্লেষকদের দাবি, সার্বিকভাবে ভোটের হার কম হওয়ার অর্থ মানুষ স্থিতাবস্থার পক্ষে ভোট দিয়েছে। আবার বিধানসভার ক্ষেত্রে উচ্চহারে ভোট পড়া থেকে তৃণমূল শিবিরের ভোট ম্যানেজারদের দাবি, ২০১৯ সালে ফলাফল বদলানোর সম্ভাবনা বেশি।
নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, হুগলি লোকসভায় ৮১.৩৮ শতাংশ ভোট এবারের নির্বাচনে পড়েছে। ২০১৯ সালে তা ছিল ৮২.৪৭ শতাংশ। বিধানসভাভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা যাচ্ছে, সিঙ্গুরে সর্বোচ্চ ৮৩.৬৮ শতাংশ ভোট পড়েছে। আর সর্বনিম্ন ভোটদানের হার চন্দননগরে। সেখানে ৭৭.১০ শতাংশ ভোট পড়েছে। আশি শতাংশ ভোট পড়েনি এমন আর একটি বিধানসভা হল চুঁচুড়া। সেখানে ৭৯.৬৪ শতাংশ ভোট পড়েছে। বলাগড়ে ৮৩.৫৬, পাণ্ডুয়ায় ৮১.৩২, সপ্তগ্রামে ৮০.৫৩ ও ধনেখালিতে ৮৩.৬৬ শতাংশ ভোট পড়েছে। এই ভোটের হার নিয়েই বিশ্লেষণের পর্ব শুরু হয়েছে।
বিজেপি অনেক নেতার দাবি, বিকেলের পর যে ভোটের হার ছিল তার থেকে সিঙ্গুরের চূড়ান্ত ভোটদানের হার অনেকটাই বেড়েছে। ওই একই সময়ে অন্য বিধানসভায় ভোটদানের হার ততটা বাড়েনি। যা সন্দেহজনক। হুগলির সাংগঠনিক সাধারণ সম্পাদক সুরেশ সাউ বলেন, অনেকেই সিঙ্গুরের ভোটের হার নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। বিষয়টি দলীয়স্তরে বিশ্লেষণ করব। সমস্ত বিধানসভা ধরেই চর্চা করা হবে। সিঙ্গুরের তৃণমূল নেতা তথা রাজ্যের মন্ত্রী বেচারাম মান্না বলেন, মানুষের রায়ে বিজেপির কখনই বিশ্বাস ছিল না। এবারও ওঁরা মানুষকে অসম্মান করার জন্য ভোটের হার নিয়ে প্রশ্ন তুলছে। দলীয়স্তরে আমরাও ভোটের হার পর্যালোচনা করব। সিপিএমের প্রার্থী মনোদীপ ঘোষ বলেন, আমরা মানুষের রায় জানি। তাই চার জুনের অপেক্ষা করছি।
রাজনৈতিক মহলের দাবি, লোকসভা ভোটে উচ্চহারে ভোট পড়লে তা বিদায়ী সাংসদের বিপক্ষে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। সিঙ্গুরের ভোট নিয়ে সেই কারণেই বিদায়ী সাংসদের দলে চর্চা শুরু হয়েছে। আবার বলাগড় বিধানসভা থেকে গতবার বিজেপি বিরাট লিড পেয়েছিল। এবার বলাগড়েও উচ্চহারে ভোট পড়েছে। যদিও অনেক রাজনৈতিক বিশ্লেষকের দাবি, নতুন ভোটারের সংখ্যা বেশি হলেও উচ্চহারে ভোট পড়ার প্রবণতা দেখা যায়। তাছাড়া সার্বিকভাবে হুগলি লোকসভায় গতবারের তুলনায় ভোট কম পড়েছে। ফলাফলের পূর্বানুমানে সেই তথ্যকেও মাথায় রাখতে হবে।