মানসিক অস্থিরতা দেখা দেবে। বন্ধু-বান্ধবদের থেকে দূরত্ব বজায় রাখা দরকার। কর্মে একাধিক শুভ যোগাযোগ আসবে। ... বিশদ
তারপর থেসপিয়ানস একটির পর একটি নাটক মঞ্চস্থ করতে থাকে। সব নাটকেরই পরিচালক পার্থ মুখোপাধ্যায়। তার মধ্যে বিশেষ উল্লেখের দাবি রাখে বুদ্ধদেব বসু রচিত ‘পুনর্মিলন’ অবলম্বনে ‘একদিন ফেরিঘাটে’, বাদল সরকার রচিত ‘যদি আর একবার’, মনোজ মিত্র রচিত ‘অশ্বত্থামা’, অমিত ভট্টাচার্য রচিত ছোটগল্প অবলম্বনে ‘রাসমণির স্বগ্গ’ এবং পার্থ মুখোপাধ্যায় রচিত ‘দ্রোহপর্ব’, ‘খড়িয়া কা ঘেরা’ (হিন্দি) ও ‘জিন্দা ভূত’ (হিন্দি)। আগাথা ক্রিস্টি রচিত ‘দ্য আনএক্সপেকটেড গেস্ট’ অবলম্বনে পার্থ মুখোপাধ্যায় রচিত ‘তখন কুয়াশা’ নাটকটি বিশেষভাবে দর্শকসমাদৃত হয়।
পঁচিশতম বর্ষের শুরুতেই এই নাট্যগোষ্ঠী সফলভাবে মঞ্চস্থ করে দ্বিজেন্দ্রলাল রায় রচিত কালজয়ী নাটক ‘সাজাহান’। এই বছরেই থেসপিয়ানসের প্রযোজনা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক ‘বিসর্জন’। যুদ্ধের নামে যখন মানবপ্রাণ বলিপ্রদত্ত হয় তখন শান্তির পক্ষে যাঁরা মাথা উচিয়ে দাঁড়ান তাঁদের উদ্দেশে শ্রদ্ধা জানাতেই এই প্রয়াস। ভারত সরকারে সংস্কৃতি মন্ত্রকের সহায়তায় নির্মিত প্রযোজনাটির একটি বিশেষ অঙ্গ বর্ষীয়ান সঙ্গীত পরিচালক মুরারী রায়চৌধুরী রচিত আবহ।
থেসপিয়ানস তাদের বিভিন্ন নাট্যপ্রযোজনায় যে সব গুণী ব্যক্তির সাহচর্য লাভ করেছে তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য রূপসজ্জায় শক্তি সেন, মঞ্চভাবনায় খালেদ চৌধুরী, দীপেন সেন, মঞ্চসজ্জায় মনু দত্ত, আলোকভাবনায় জয় সেন, আবহ প্রক্ষেপণে সুব্রত ভাবক।
মঞ্চনাট্যের পাশাপাশি থেসপিয়ানস শ্রুতিনাটকও পরিবেশন করে চলেছে দীর্ঘদিন ধরে। থেসপিয়ানস আয়োজিত দুটি নাট্যোৎসবে অংশগ্রহণ করেছে চুপকথা, অন্য থিয়েটার, চেতনা, সায়ক, মুখর এবং স্বপ্নসন্ধানীর মতো কলকাতার বিশিষ্ট নাট্যদল। থেসপিয়ানস কয়েকটি নাট্য সেমিনারেরও আয়োজন করেছে বিভিন্ন সময়ে। সেগুলিতে উপস্থিত থেকেছেন জ্ঞানেশ মুখোপাধ্যায়, খালেদ চৌধুরী, রবি ঘোষ, সত্য বন্দ্যোপাধ্যায়, তরুণকুমার, বিভাস চক্রবর্তী, অরুণ বন্দ্যোপাধ্যায়, মেঘনাদ ভট্টাচার্য, ঊষা গঙ্গোপাধ্যায়, দেবাশিস মজুমদার, তমাল রায়চৌধুরী প্রমুখ বিশিষ্ট নাট্যব্যক্তিত্ব। থেসপিয়ানস ঐতিহ্যের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ও বর্তমানের প্রতি দায়বদ্ধ।