উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে বাধার মধ্য দিয়ে অগ্রসর হতে হবে। কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ যোগ। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
মোহন বাগানের আরও অনেক সুখস্মৃতি ভেসে উঠল কিবুর বক্তব্যে। তিনি বলছিলেন, ‘শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত একটা ইউনিট হিসেবে আমরা খেলেছিলাম। মাঠে ও মাঠের বাইরে আমাদের বোঝাপড়া ছিল অটুট। ফুটবলারদের যা নির্দেশ দিয়েছি, ওরা তাই পালন করেছে। এমন দল সাফল্য পেতে বাধ্য।’ আই লিগ চ্যাম্পিয়ন মোহন বাগান দলের সেই ভারসাম্য এখন হাবাসের দলেও দেখতে পাচ্ছেন কিবু। তাঁর কথায়, ‘ভীষণ ব্যালান্সড সাইড। প্রতিটি পজিশনে দক্ষ ফুটবলার রয়েছে। রিজার্ভ বেঞ্চ শক্তিশালী। দুর্দান্ত কোচিং টিম। বিদেশি ও ভারতীয় ফুটবলারদের সঠিক সমন্বয় রয়েছে। এসসি ইস্ট বেঙ্গলের এই জায়গাতেই বড় ঘাটতি ছিল। একটা পেশাদার দলের ম্যানেজমেন্ট বড় ফ্যাক্টর। এটিকে মোহন বাগান এই জায়গায় অন্যদের টেক্কা দিয়েছে। গতবার আইএসএল চ্যাম্পিয়ন হয়েছে এটিকে। এবার তাদের টিম আরও শক্তিশালী। সন্দেশ ও তিরির মতো দুই নির্ভরযোগ্য ডিফেন্ডার আসল পার্থক্য গড়ে দিয়েছে।’ শনিবারের ফাইনালে কিবু ভিকুনার বাজি এটিকে মোহন বাগানই। তাঁর যুক্তি, ‘দু’টি দলই গ্রুপ লিগে সর্বাধিক ৪০ পয়েন্ট নিয়ে খেলা শেষ করেছে। দুটো দলের মধ্যে শক্তির তারতম্য খুব বেশি নয়। তবে প্রথমবার ফাইনালে ওঠায় মুম্বইয়ের উপর চাপ বেশি থাকবে। সেদিক থেকে এটিকে মোহন বাগানের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।’
কোচ কিবু ভিকুনার ভবিষ্যৎ কী? স্প্যানিশ কোচ বলছেন, ‘আমিও জানি না। আপাতত বাড়ি ফিরে বিশ্রাম নেব। তারপর ভাবব। তবে সুযোগ পেলে আবার ভারতে কোচিং করাতে রাজি। ভারতীয় ফুটবলের উন্নতিতে সাহায্য করতে চাই। এই দেশের ফুটবলের উন্নতির জন্য দীর্ঘমেয়াদি লিগের চিন্তাভাবনা করা উচিত। ভারতে ফুটবলাররা ২০টির বেশি ম্যাচ খেলে না। চার মাসের লিগ যথেষ্ট নয়। অন্য দেশে প্রতিটি ফুটবলার তিরিশটির বেশি ম্যাচ খেলে থাকে।’