সামাজিক কল্যাণ কর্মে সাফল্য ও জনখ্যাতি। বাতজ সমস্যায় বিব্রত হতে পারেন। কাজ কারবারে শুভ। ... বিশদ
এখানকার পদ্মফুল নবদ্বীপের বিভিন্ন বাজার, মায়াপুর ইসকন মন্দিরের পাশাপাশি কৃষ্ণনগর, শান্তিপুর, এমনকী, পূর্ব বর্ধমানের বিভিন্ন বাজারে পাইকারদের হাত ধরে পৌঁছে যায়। প্রতিদিন যেভাবে জলাশয় ভরে পদ্ম ফুটছে, তাতে খুশি পদ্মচাষিরা। পুজোর সময় এই পদ্ম বিক্রি করেই তাঁরা লাভের মুখ দেখতে পান। তবে পুজোর আগে ফের নিম্নচাপ হলে ফুলের ক্ষতি হয়ে যাবে। তা নিয়ে অল্প দুশ্চিন্তাও চাষিদের মধ্যে রয়েছে।
চরব্রহ্মনগরের মাঝেরপাড়ার বেশকিছু চাষি পদ্ম চাষের সঙ্গে যুক্ত। সারা বছরই তাঁরা পদ্ম চাষ করে জীবিকা নির্বাহ করেন। দূরদুরান্ত থেকে অনেক ফুল ব্যবসায়ী এখান থেকে পদ্ম কিনে নিয়ে যান। এছাড়া, দুর্গাপুজোর সময় স্থানীয় অনেক পুজো কমিটির কর্মকর্তারা এখান থেকে পদ্ম কেনেন। দুর্গাপূজো ছাড়াও লক্ষ্মীপূজার সময় এই ফুলের চাহিদা দেখা যায়। এক-একটি পদ্মফুল ২৫-৩০ টাকায় বিক্রি হয়। কিছুদিন আগেও অতিরিক্ত বৃষ্টির কারণে পদ্ম চাষ থমকে গিয়েছিল। ফলে এখানকার পদ্মচাষিরা খুব চিন্তায় পড়েছিলেন। তবে এখন জলাশয় ভরে পদ্মফুল ফুটছে।
পদ্মচাষি নিখিল রায় বলেন, ২৫ বছর ধরে পদ্ম চাষ করছি। বছরে শুধুমাত্র পৌষ ও মাঘ মাস ছাড়া সারাবছরই এই ফুলের চাষ হয়। খুব লাভজনক হলেও এই ফুলচাষে অত্যধিক পরিশ্রমও করতে হয়। এবার মনসাপূজার সময় পদ্মফুল ফোটেনি। তার কারণ অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত। তবে ভালোভাবে এই চাষ করা গেলে মাসে প্রায় ২৫-৩০ হাজার টাকা রোজগার করা যায়। চার-পাঁচদিন ধরে প্রতিদিন কয়েকশো পদ্ম ফুটছে। কিন্তু দুর্গাপুজোর দেরি আছে। তাই এই ফুলের কুঁড়ি ফ্রিজে মজুত করে রাখছি। তবে ফের নিম্নচাপ হলে চাষের ক্ষতি হবে। নবদ্বীপের ফুল ব্যবসায়ী বাবন দে বলেন, দুর্গাপূজার সময় পদ্মফুলের চাহিদা খুবই বেড়ে যায়। বিশেষ করে অষ্টমীর দিন প্রচুর পদ্মের অর্ডার থাকে। সেসময় আমরা কলকাতার পাশাপাশি চরব্রহ্মনগর থেকেও পদ্মফুল নিয়ে আসি।