সামাজিক কল্যাণ কর্মে সাফল্য ও জনখ্যাতি। বাতজ সমস্যায় বিব্রত হতে পারেন। কাজ কারবারে শুভ। ... বিশদ
কাটোয়ার ঘোড়ানাশ গ্রামে তাঁতশিল্পী সুশান্ত দে-র কাজ দেখতে এসেছিলেন কলকাতার পুজো মণ্ডপের থিমের তথ্যচিত্রের দ্বায়িত্বে থাকা কয়েকজন। তাঁরা পুজো মণ্ডপে প্রদর্শনের জন্য একটি তথ্যচিত্র নির্মাণ করছেন। কাটোয়ার ঘোড়ানাশ, কালনা মহকুমার তাঁতশিল্পীদের পাড়ায় ঢুঁ মেরে তথ্যচিত্রের জন্য শুটিংও করেন। জামদানি শাড়ি কীভাবে তৈরি হয়। সুতো কীভাবে রং করা হয়, তাঁতশিল্পীদের সেকাল ও একাল নিয়েই তথ্যচিত্রে ফুটিয়ে তোলা হবে। তথ্যচিত্রের দ্বায়িত্বে থাকা সৌমাদিত্য মুখোপাধ্যায় বলেন, কলকাতার দমদম পার্কের ভারতচক্র ক্লাবে এবার বাংলার জামদানি নিয়েই থিম গড়ে তোলা হচ্ছে। শিল্পী অদিতি চক্রবর্তী সেই কাজ করছেন। পাশাপাশি আমরা একটা জামদানীর উপর একটি তথ্যচিত্রও করছি। সেটা পুজো মণ্ডপে তুলে ধরা হবে। একটা সময় বাংলার জামদানির খুব চল ছিল। কালের নিয়মে সেটা হারিয়েও গিয়েছিল। কিন্তু বর্তমানে বাংলার তাঁতশিল্পীদের হাতের ছোঁয়ায় সেই জামদানি আবার বিদেশ পাড়ি দিচ্ছে। এসব নিয়েই থিমের মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা হবে। তাছাড়া কাটোয়ার ঘোড়ানাশ গ্রামে ২০০০ তাঁতি রয়েছেন। তাঁদের হাতে বোনা জামদানি দেখলাম। পুজো মণ্ডপে তথ্যচিত্রের মাধ্যমেও দর্শনার্থীদের দেখানো হবে।
কাটোয়া-২ ব্লকের জগদানন্দপুর পঞ্চায়েতের ঘোড়ানাশ, মুস্থলী গ্রামে দীর্ঘদিন ধরে অনেক মানুষ তাঁতশিল্পের সঙ্গে জড়িয়ে আছেন। এখানকার শিল্পীরা বিশ্ববাজারের চাহিদার সঙ্গে পাল্লা দিতে দিনরাত তৈরি করছেন স্কার্ফ, খাদি মসলিন জামদানি শাড়ি। বহু পুরনো আমলে জামদানি দিয়ে নকশাওয়ালা শেরওয়ানির প্রচলন ছিল। তাছাড়া মুঘল আমলেও জামদানির প্রচলন ছিল। পরে ধীরে ধীরে সেই জামদানি হারিয়ে গেলেও ফের বাংলার শিল্পীদের হাত ধরে ফিরে এসেছে। কাটোয়ার ঘোড়ানাশ গ্রামের পুরস্কারপ্রাপ্ত তাঁতশিল্পী সুশান্ত দে-র হাতে বোনা জামদানি বিদেশেও পাড়ি দেয়। তিনি বলেন, আমাদের হাতে বোনা জামদানি কলকাতার পুজো মণ্ডপে প্রর্দশিত হবে। এর থেকে আনন্দের আর কী হতে পারে?