সামাজিক কল্যাণ কর্মে সাফল্য ও জনখ্যাতি। বাতজ সমস্যায় বিব্রত হতে পারেন। কাজ কারবারে শুভ। ... বিশদ
বীরভূম তথা রাজ্য রাজনীতিতে অত্যন্ত আলোচিত চরিত্র অনুব্রত মণ্ডল ওরফে কেষ্ট। প্রত্যেক নির্বাচনের সময় বিরোধীদের উদ্দেশে তাঁর দেওয়া বিভিন্ন ভাষণ বা ডায়ালগ সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। তাঁর বলা সেইসমস্ত মজাদার ও আকর্ষণীয় রাজনৈতিক বক্তব্যকেই মিমিক্রি করে সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক জনপ্রিয়তা পান সাজিদ। অনুব্রতর গলার স্বর অপরিবর্তিত রেখে কৌতুক অভিনয়ের মাধ্যমে সেগুলিকে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন তিনি। যার দর্শক সংখ্যা ছিল প্রচুর। কিন্তু ২০২২সালের ১১ আগস্ট গোরু পাচার ও আর্থিক দুর্নীতি মামলায় গ্রেপ্তার হন অনুব্রত। তারপর থেকেই সাজিদের ‘কনটেন্টে’ ভাটা পড়ে যায়। তার ফলে ধীরে ধীরে কিছুটা জনপ্রিয়তা কমতে থাকে। শুধুমাত্র অনুব্রত মণ্ডলের বলা কথা নিজের কায়দায় অভিনয় করে যে খ্যাতি তিনি পেয়েছিলেন তা জেলযাত্রার পর কমতে থাকে। সাজিদ কার্যত নিজের ‘কনটেন্ট’ খুঁজে পাচ্ছিলেন না। তাই প্রচণ্ড সমস্যায় পড়েছিলেন তিনি।
দীর্ঘ দু’বছরেরও বেশি সময় পর ইডি ও সিবিআইয়ের করা মামলা থেকে জামিন পেয়েছেন অনুব্রত। মঙ্গলবার সকালেই দিল্লি থেকে তিনি বোলপুরের নিচুপট্টির বাড়িতে ফিরে আসেন। সঙ্গে ছিলেন কন্যা সুকন্যা মণ্ডলও। প্রিয় নেতা বাড়ি ফিরে এসেছেন, সেই খবর জানতে পেরেই দুপুরে অনুব্রতর বাড়ির সামনে ভিডিওর সঙ্গীসাথীদের নিয়ে পৌঁছে যান সাজিদ। কেষ্টদা’র সঙ্গে দেখা হলে পুষ্পস্তবক তুলে দিতে চেয়েছিলেন। যদিও এদিন অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়নি সাজিদের। তবে প্রিয় নেতা ফিরে আসার খুশিতে অনুব্রতর বাড়ির সামনেই তার দেওয়া ডায়ালগ আওড়াতে থাকেন সাজিদ। অনুব্রত বলা কথাগুলি মিমিক্রি করে মানুষের মনোরঞ্জন করতে থাকেন তিনি। রাজনীতির চাপানউতোরের মাঝে সাজিদের মিমিক্রিতে অনুব্রতর বাড়ির সামনে থাকা লোকজন হাসতে থাকেন। সাজিদ আশাবাদী, খুব তাড়াতাড়ি হয়তো প্রিয় কেষ্টদার সঙ্গে দেখা হবে। সাজিদ বলেন, দীর্ঘদিন দাদা বোলপুরে না থাকার কারণে ভিডিও করার জন্য সমস্যায় পড়েছিলাম। দু’বছর পর কেষ্টদা ফিরে এসেছেন। আবার তাঁর নকুলদানা, পাচন, চড়াম চড়াম ঢাকের আওয়াজ সহ আরও নতুন ডায়ালগ দেবেন তিনি। আর তার মিমিক্রি করব।