সংবাদদাতা, তেহট্ট: মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি মতো হরিণঘাটা পুরসভা হয়েছে। ধুপগুড়ি মহকুমা শহর হল। কিন্তু তেহট্ট মহকুমা শহর হওয়া সত্ত্বেও পুরসভা হল না। ভোট আসে ভোট যায়। কিন্তু তেহট্ট পুরসভা হয় না। এলাকার বাসিন্দারা আশায় আছেন যে, মুখ্যমন্ত্রী তাঁর প্রতিশ্রুতি পূরণ করবেন। মুখ্যমন্ত্রী কৃষ্ণনগর এসে একটি প্রশাসনিক সভায় বলেছিলেন, নদীয়ার হরিণঘাটা ও তেহট্ট পুরসভা হবে। সেই ঘোষণা মতো হরিণঘাটা পুরসভা হলেও কোনও অজানা কারণে আজ পর্যন্ত তেহট্ট পুরসভা না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন এলাকারা বাসিন্দারা। এলাকার বাসিন্দারা বলেন, একই সঙ্গে ঘোষণা হয়ে হরিণঘাটা পুরসভা হয়ে গিয়েছে। সেই এলাকার পুরভোট হয়ে বোর্ড গঠন হয়ে গিয়েছে। অথচ মহকুমা শহর হওয়া সত্ত্বেও তেহট্ট পুরসভা হল না। এর আগেও বাম আমলে তেহট্টকে পুরসভা করার ঘোষণা বাস্তবায়িত হয়নি। এলাকার বাসিন্দারা মনে করেছিলেন, এই সরকার তেহট্টকে পুরসভা করবে। মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণায় তেহট্টের মানুষ আশার আলো দেখেছিল। কিন্তু ঘোষণা বাস্তবে রূপ না দেখায় হতাশ তেহট্টের মানুষ। এলাকার বাসিন্দা জয়দেব বিশ্বাস বলেন, তেহট্ট মহকুমা হয়েছে ১৯৯৬ সালে। তখন থেকে আমরা শুনে আসছি তেহট্ট পুরসভা হবে। বাম সরকারও তেহট্টকে পুরসভা করার আশ্বাস দিয়েছিল। তেহট্টজুড়ে ব্যানার পোস্টার পড়েছিল যে, তেহট্টকে পুরসভা করার জন্য বাম সরকারকে ধন্যবাদ। কিন্তু ঘোষণাই সার, তারপর কোনও পদক্ষেপ করেনি বাম সরকার। তিনি বলেন, আমরা আশা করেছিলাম তৃণমূল সরকার তেহট্টকে পুরসভা করবে। সেই আশাও আমাদের পূরণ হয়নি। সিপিএমের জেলা কমিটির সদস্য সুবোধ বিশ্বাস বলেন, আমাদের আমলে তেহট্টকে পুরসভা করার কথা ঘোষণা হয়েছিল। আমাদের সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ায় তা বাস্তবায়িত হয়নি। এখন যে কারণে পুরসভা হবে না, সেটা হল এই মুহূর্তে তেহট্টের যা রাজনৈতিক অবস্থা, তাতে নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে তৃণমূল এই পুরসভায় বোর্ড গঠন করতে পারবে না। তেহট্টের বিধায়ক তাপস সাহা বলেন, সরকারের নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়ে আছে। বাস্তবায়িত হতে একটু সময় লাগবে।
নদীয়া জেলা উত্তর সাংগঠনিক জেলার বিজেপি সভাপতি অর্জুন বিশ্বাস বলেন, রাজনৈতিক কারণে তেহট্টকে পুরসভা করা হয়নি। ঠিক যে কারণে ধুপগুড়িকে মহকুমা করা হয়নি এতদিন। তারপরে উপ নির্বাচনে অভিষেক বলার পর তৃণমূল ধুপগুড়ি জিতল। তারপর মুখ্যমন্ত্রী ধুপগুড়িকে মহকুমা ঘোষণা করলেন। এখানে আমরা শক্তিশালী বলে কোনও ভাবেই পুরসভা করছে না সরকার।