উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে বাধার মধ্য দিয়ে অগ্রসর হতে হবে। উচ্চতর বিদ্যার ক্ষেত্রে শুভ ফল পাবে। কর্মপ্রার্থীদের ... বিশদ
প্রসঙ্গত, বিষাক্ত পার্থেনিয়াম গাছের রেণু বাতাসে বহু দূর পর্যন্ত ছড়িয়ে যায়। বহরমপুর গার্লস কলেজের উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডঃ অঙ্কুশ পাল বলেন, পার্থেনিয়ামের বিষাক্ত রেণু শ্বাসকষ্ট সহ বহু রোগের উপসর্গ ডেকে আনে। অ্যালার্জিজনিত রোগব্যাধির প্রকোপ বাড়তে পারে। পার্থেনিয়াম এড়িয়ে চলা উচিত। যখন চারাগাছ জন্ম নেয় তখনই সমূলে ধ্বংস করা উচিত। রোগী ও পরিজনদের অভিযোগ, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার কারণে দীর্ঘদিন ধরে মেডিক্যাল কলেজ চত্বরে পার্থেনিয়ামের জঙ্গল হয়েছে। হাসপাতালের মূল বিল্ডিং সহ, মেডিক্যাল পড়ুয়াদের ছাত্রাবাস, স্টাফ কোয়ার্টার, রোগীর পরিজনদের বিশ্রামাগার থেকে শুরু করে মর্গ সমস্ত এলাকাকা পার্থেনিয়ামে ঢাকা পড়ে গিয়েছিল। এনিয়ে বিভিন্ন মহল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে আঙুল তুলতে শুরু করে। বিশেষ করে রোগীর রোগীদের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে থাকা পরিজনরা কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার অভিযোগ তোলেন। ডোমকলের এক রোগীর আত্মীয় সামসুল হক বলেন, রোগীর চিকিংসা করাতে এসে যদি রোগের শিকার হতে হয় তার থেকে লজ্জার কিছু নেই। মেডিক্যাল পড়ুয়াদের একাংশ সহ, হাসপাতালের কর্মীদের একাংশও এ ব্যাপারে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। কর্মীদের একাংশের দাবি, আমরা ছেলেমেয়েদের নিয়ে কাজের জন্য এখানে পড়ে থাকি। কিন্তু তাদের স্বাস্থ্য নিয়েই আমরা চিন্তায় রয়েছি। মেডিক্যাল পড়ুয়াদেরও অনেকে এনিয়ে সরাসরি কর্তৃপক্ষের গাফিলতির দিকে অভিযোগ তোলেন। হাসপাতাল লাগায়ো স্থানীয় বাসিন্দারাও একই অভিযোগ তুলেছেন।
মেডিক্যাল কলেজের এমএসভিপি ডাঃ দেবদাস সাহা বলেন, হাসপাতাল চত্বরে আগাছা সহ পার্থেনিয়াম হয়েছে। আমরা গাছ নির্মূল করতে বেশ কয়েকজন শ্রমিক লাগিয়েছি। আগামী দু’-তিন দিনের মধ্যেই সব সাফ হয়ে যাবে।