উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে বাধার মধ্য দিয়ে অগ্রসর হতে হবে। উচ্চতর বিদ্যার ক্ষেত্রে শুভ ফল পাবে। কর্মপ্রার্থীদের ... বিশদ
নবাবি তালুক মুর্শিদাবাদ শহর। একদা সুবে বাংলার রাজধানী এই শহরাঞ্চলকে নিয়ে তৈরি হয়েছে মুর্শিদাবাদ পুরসভা। বর্তমানে পুরসভায় ১৬টি ওয়ার্ডের জনসংখ্যা ৫০ হাজারের বেশি। পুরসভা এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে পানীয় জলের সমস্যা রয়েছে। নাগরিকরা জানিয়েছেন, পুর এলাকায় পানীয় জলের সমস্যা বছরভর কমবেশি থাকলেও গরমের সময়ে মাস তিনেক খুব সমস্যায় পড়তে হয়। জল প্রকল্পের কাজ শেষ হলে পানীয় জলের সমস্যা মিটবে। নসিপুরের বাসিন্দা নিমাই মণ্ডল বলেন, পুরসভার পানীয় জলের সংযোগ চালু না হওয়ায় রাস্তার কলের উপর নির্ভর করে থাকতে হয়। একবেলা জল না এলে পুর এলাকার বাসিন্দাদের বিরাট সমস্যার মধ্যে পড়তে হয়। সেক্ষেত্রে জল কিনে খাওয়া ছাড়া উপায় থাকে না।
উল্লেখ্য, পুরসভার প্রতিটি ওয়ার্ডেই জল সঙ্কট রয়েছে। তবে ১ নম্বর ওয়ার্ডের রতনপুর, মোতিঝিল, ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সাহানগর, ওমরাহগঞ্জ, ৩ নম্বর ওয়ার্ডের গোলাপবাগ, ১১ নম্বর ওয়ার্ডের কুর্মিতলা এলাকায় পানীয় জলের সমস্যা বেশি। এই ওয়ার্ডগুলিতে সাময়িকভাবে জল সমস্যা মেটাতে পুরসভার পক্ষ থেকে ট্যাঙ্ক নিয়ে গিয়ে জল সরবরাহ করা হয়। শহরের এক বাসিন্দা বলেন, রাজ্য সরকারের জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দপ্তরের ট্যাপকল থেকে ঠিকমতো জল পাওয়া যায় না। বছরের বেশিরভাগ সময়েই কল থেকে সুতোর মতো জল পড়ে। খরার সময় সমস্যা আরও প্রকট হয়।
এদিকে পুর এলাকার দীর্ঘদিনের এই সমস্যা মেটাতে ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ৫০ কোটি ২৫ লক্ষ টাকার আর্সেনিকমুক্ত পানীয় জল প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। প্রকল্পের শিলান্যাস করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই প্রকল্পে গঙ্গা থেকে জল তুলে তা পরিস্রুত করে বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দিতে ২ নম্বর ওয়ার্ডের শ্মশানঘাট এলাকায়, ১১ নম্বর ওয়ার্ডের ফুটো মসজিদ সংলগ্ন এলাকায় এবং ১২ নম্বর ওয়ার্ডের কুর্মিতলা এলাকায় মোট তিনটি জলাধার নির্মাণের কাজ শুরু হয়। একইসঙ্গে গঙ্গা থেকে জল তুলে পরিস্রুত করার জন্য ২ নম্বর ওয়ার্ডের রথতলা এলাকায় ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টের কাজ শুরু হয়। তিনটি জলাধার তৈরির কাজ শেষ হয়ে পাইপ বসানোর কাজ শুরু হতে চলেছে। তিন বছরের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে জল প্রকল্পের কাজ শুরু হলেও চালু হতে চার বছরের বেশি সময় লেগে যাবে বলে মনে করছে পুরসভা কর্তৃপক্ষ। লক্ষ্যমাত্রার থেকে সময় বেশি লাগলেও পুরসভার আর্সেনিকমুক্ত পানীয় জল বাড়ি বাড়ি পৌঁছতে চলেছে শুনে হাঁফ ছাড়ছেন নাগরিকরা।