প্রেম-প্রণয়ে কিছু নতুনত্ব থাকবে যা বিশেষভাবে মনকে নাড়া দেবে। কোনও কিছু অতিরিক্ত আশা না করাই ... বিশদ
টানা কয়েক দিনের বৃষ্টির জেরে শিলিগুড়ি শহরের কিছু এলাকা কার্যত নরকে পরিণত হয়েছে। সেগুলির মধ্যে আসরফনগর, শীতলাপাড়া, জ্যোতিনগর কলোনি প্রভৃতি অন্যতম। এদিন বৃষ্টি না হলেও এলাকাগুলির কিছু বাড়ির উঠানে দাঁড়িয়ে ছিল ঘোলা জল। বাড়িতে ঢোকার রাস্তায় জমেছে শ্যাওলা। কিছু জায়গায় রাস্তার ধারে জমে আছে কাদা। ড্রেন দিয়েও যাচ্ছে না বর্জ্য ভর্তি জল। সংশ্লিষ্ট এলাকা ৪০ নম্বর ওয়ার্ডের অধীনে। এলাকাটি তৃণমূলের দখলে।
এদিন দুপুরে ওয়ার্ড কো-অর্ডিনেটর সত্যজিৎ অধিকারী, রঞ্জন শীলশর্মা, রুবি রায়কে নিয়ে সংশ্লিষ্ট এলাকায় পরিদর্শনে যান তৃণমূলের জেলা সভাপতি রঞ্জনবাবু। এলাকাগুলিতে তাঁদের ঘিরে ধরে স্থানীয় বাসিন্দারা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা স্থানীয় কাউন্সিলারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।
এরপর শহরের ৫, ৬, ৭, ৪১ এবং ৪২ নম্বর ওয়ার্ডে পরিদর্শন করেন তৃণমূল কাউন্সিলাররা। সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডগুলির রাস্তার খানাখন্দে এবং নিচু জায়গায় জমে আছে জল। পরে তৃণমূলের জেলা সভাপতি বলেন, পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের আগে দীর্ঘ ৪০ বছর ধরে এই শহরের ক্ষমতায় ছিল বামফ্রন্ট। তারা শহরের নিকাশি ব্যবস্থা চাঙ্গা করতে ব্যর্থ। রাস্তাঘাটেরও উন্নতি করতে পারেনি। তাই কয়েক দিনের বৃষ্টির জেরে এই শহর নরকে পরিণত হয়েছে। এখন পুরসভায় প্রশাসক বোর্ড। এলাকাগুলির নিকাশি ব্যবস্থা ও বেহাল রাস্তা চাঙ্গা করার দাবি পুরসভায় জানাব। তবে এদিন মশার বংশবৃদ্ধি রুখতে এলাকাগুলিতে আমরা মশা মারার তেল স্প্রে করেছি।
প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারম্যান অবশ্য বলেন, যা ইচ্ছে বলাই যায়। কাজেই ওঁর বক্তব্য নিয়ে কোনও মন্তব্য করব না। তবে শহরের রাস্তা, নিকাশি ব্যবস্থা চাঙ্গা করার বিষয়ে এদিনও পুরসভায় বৈঠক করেছি। কোভিড পরিস্থিতির মধ্যেও সীমিত ক্ষমতার মধ্য দিয়ে সমস্ত ধরনের নাগরিক পরিষেবা স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করছি।
উল্লেখ্য, বুধবার বৃষ্টির মধ্যে ইঞ্জিনিয়ারদের নিয়ে শহরের জলমগ্ন বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেন অশোকবাবু।