আবেগের বশে কোনও কাজ না করাই ভালো। দাম্পত্য জীবনে বনিবনার অভাবে সংসারে অশান্তি বাড়বে। কর্মে ... বিশদ
প্রকল্পটির প্রজেক্ট ম্যানেজার এ. ভাসু বলেন, কিছু কাজ ডিপার্টমেন্ট নিজেই করছে। কিছু কাজ ঠিকা দেওয়া হয়েছে। গণ্ডগোলের বিষয়টি শুনেছি। এটা গ্রামের ভেতরের ব্যাপার। ইসলামপুরের অতিরিক্ত পুলিস সুপার কার্তিক চন্দ্র মণ্ডল বলেন, গণ্ডগোলের ব্যাপারে অভিযোগ এসেছে। সেই মতো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। গ্রামে পুলিস মোতায়েন করা হয়েছে।
স্থানীয় পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য তৃণমূলের নুরি বেগমের স্বামী মহম্মদ নাসিরউদ্দিন প্রকল্পের কাজের কন্ট্রাক্ট নিয়েছেন। নাসিরউদ্দিন বলেন, আমরা কাজ করছি। কিছু কিছু ছেলে দাদাগিরি করে টাকাপয়সা চায়। দাবি মতো টাকা না দিলে কাজ বন্ধ করে দেয়। প্রশাসনের সঙ্গে বসে আলোচনা করে আবার কাজ করতে হয়। ওরা লেবার দেওয়ার জন্য ২৩ জনের একটি কমিটি করে। আমার থেকে কয়েক লক্ষ টাকা নিয়েছে। কিন্তু ওই টাকা কমিটির মধ্যে ভাগ করেনি। চার জনে টাকা ভাগ করে নিয়েছে। এনিয়েই রাতে ওদের মধ্যে গণ্ডগোল হয়েছে।
মদনভিটা গ্রামসভা কমিটির সভাপতি বলেন, কন্ট্রাক্টর শ্রমিকদের ২৬৭ টাকা করে মজুরি দিচ্ছিল। অন্যান্য জায়গায় খোঁজ নিয়ে জানতে পারি এই কাজে শ্রমিকদের আরও বেশি মজুরি দেওয়া হয়। তার পরেই গ্রামে ২৩ জনের কমিটি তৈরি করা হয়। তার খাতাপত্রও করা হয়েছে। এরপর থেকে শ্রমিকেরা কাজের ধরন অনুসারে ৪২৫ টাকা, ৪৫০ টাকা এবং ৪৭৫ টাকা মজুরি পাচ্ছিল। কমিটির চার জন কাজের দেখাশুনা করত। তার বিনিময়ে তাদের মজুরি দেওয়া হতো। প্রতিদিন গড়ে ১০০ শ্রমিক কাজ করত। শ্রমিকদের সপ্তাহে পেমেন্ট দেওয়া হতো। কমিটির লোকদের ১৫ দিনে পেমেন্ট হতো। সম্প্রতি কমিটির লোকেদের পেমেন্ট বন্ধ করে দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে কিছু শ্রমিকেরও পেমেন্ট দেওয়া হয়নি। গোপন সূত্রে জানতে পারি কমিটির কিছু লোককে নাসিরুদ্দিন হাত করেছে। তাদের সঙ্গে কয়েক লক্ষ টাকা ডিল হয়েছে কমিটি ভাঙার জন্য। কমিটি ভাঙতে পারলেই কম মজুরি ও কম শ্রমিক দিয়ে কাজ করাতে ওরা পারবে। তাই তারা চক্রান্ত করে গণ্ডগোল বাধিয়েছে। কমিটি কোনও টাকা নেয়নি। চার জন কাজ দেখাশুনা করেছে শুধু তাদের মজুরিই নেওয়া হয়েছে। তারমধ্যেও ১৫ দিনের মজুরি বাকি আছে। রাতে আমার বাড়িতে হামলা হয়েছে, বোমা মারা হয়েছে।
হাপতিয়াগছ পঞ্চায়েতের উপ প্রধান তৃণমূলের মহম্মদ সাকির বলেন, কয়েকদিন থেকেই এই বিষয়টি নিয়ে কমিটির মধ্যে গণ্ডগোল ছিল। মীমাংসার জন্য মঙ্গলবার বিকেলে দুই পক্ষের কয়েকজনকে নিয়ে বসার কথা ছিল। কিন্তু গোটা পাড়ার লোক চলে আসে। তাই আলোচনা আর হয়নি। রাতে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। বোমার আঘাতে নিরীহ তিন মহিলা জখম হয়েছেন।