বেজিং, ৪ জুলাই (পিটিআই): চীনের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নতিতে আরও একধাপ এগল বাংলাদেশ। বৃহস্পতিবার দুই দেশের মধ্যে ন’টি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। রোহিঙ্গাদের মায়ানমারে ফেরানো, আর্থিক, বিনিয়োগ ও প্রযুক্তি ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছে চীন। এদিন গ্রেট হলে রেড কার্পেট পেতে স্বাগত জানানো হয় শেখ হাসিনাকে। পরে দুই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও লি কেকিয়াংয়ের সঙ্গে বৈঠক হয়। দেড় ঘণ্টার ওই বৈঠকে দু’দেশের মধ্যে মোট ৯টি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। দুই প্রধানমন্ত্রীর আলোচনায় উঠে আসে প্রত্যার্পণের বিষয়টি। চীনের প্রধানমন্ত্রী বলেন, সন্দেহ নেই রোহিঙ্গা ইস্যু বাংলাদেশের জন্য একটি বড় সমস্যা। চীন এই সমস্যা মোকাবিলায় বাংলাদেশকে সবরকম সহায়তা করবে। বাংলাদেশের বিদেশ সচিব এমডি শহিদুল হক বলেন, রোহিঙ্গা সমস্যা মেটাতে আন্তরিকতা দেখিয়েছে চীন। মায়ানমার থেকে বিতাড়িত রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য আড়াই হাজার টন চাল সরবরাহ করবে চীন। শেখ হাসিনা অবশ্য বলেন, ‘যতই সময় যাবে, এই সমস্যা ততই বড় আকার নেবে। যার একমাত্র সমাধান হল রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানো।’ পাশাপাশি তিনি বলেন, ‘মায়ানমারকে সমস্যা মেটানোর জন্য আন্তরিক হতে হবে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশের বিশেষ কিছু করণীয় নেই।’
এদিন তিনদিনের সফরে চীনে এসেছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। চীনের প্রেসিডেন্ট জি জিনপিংয়ের সঙ্গেও বৈঠক করবেন তিনি। বাংলাদেশের উপর থেকে ভারতের প্রভাব কমাতে বিপুল অঙ্কের বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি দেয় চীন। বিশেষ করে শক্তি ও পরিকাঠামো ক্ষেত্রে ৩ হাজার ১০০ কোটি মার্কিন ডলার বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বেজিং। এছাড়াও বাংলাদেশ-চীন-ভারত-মায়ানমারের মধ্যে দিয়ে অর্থনৈতিক গড়ে তোলা নিয়েও আলোচনা হয় দুই প্রধানমন্ত্রীর।