কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ। সরকারি ক্ষেত্রে কর্মলাভের সম্ভাবনা। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম-ভালোবাসায় মানসিক অস্থিরতা থাকবে। ... বিশদ
সোমবার, এই কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে দিল্লি উত্তাল হয়ে উঠতে পারে বলে আগেই আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছিল। তাই, এদিন সকাল থেকে বিরাট সংখ্যক পুলিসকর্মী জেএনইউ চত্ত্বরে হাজির ছিলেন। শান্তিপূর্ণভাবে মিছিল করার জন্য পড়ুয়াদের আবেদন করেছিল প্রশাসন। যদিও, কর্মসূচিকে ঘিরে অসহযোগিতার অভিযোগ তোলা হয়েছে ছাত্রছাত্রীদের তরফে। পড়ুয়াদের অভিযোগ, এই কর্মসূচি আটকানোর জন্য প্রশাসন বারবার চেষ্টা চালিয়েছে। মিছিল শুরু হওয়ার আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্ত গেট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। এই দাবির সপক্ষে বেশ কিছু ছবিও তাঁরা সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেয়।
সোমবার, রাষ্ট্রপতি ভবন পর্যন্ত মিছিল করার পরিকল্পনা করেছিল জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা। রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করার আর্জিও জানিয়েছিলেন তাঁরা। সেই সঙ্গে, ফি বৃদ্ধির ব্যাপারে রাষ্ট্রপতির হস্তক্ষেপ দাবি করা হয় ছাত্রছাত্রীদের তরফে। তাঁদের দাবি, হস্টেলের ফি বৃদ্ধির যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, রাষ্ট্রপতি হস্তক্ষেপ করে তা প্রত্যাহার করার ব্যবস্থা করুন। সোমবার, জেএনইউ’র পড়ুয়াদের কর্মসূচি থাকায় উদ্যোগ ভবন, লোক কল্যাণ মার্গ, সেন্ট্রাল সেক্রেটারিয়েট মেট্রো স্টেশনের সমস্ত গেট বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয় কর্তৃপক্ষ।
ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদে বিগত প্রায় একমাস ধরে ক্যাম্পাসের মধ্যে প্রতিবাদ দেখাচ্ছে পড়ুয়ারা। ইতিমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আন্দোলন ছেড়ে তাঁদের ক্লাসে যোগ দেওয়ার আবেদন জানিয়েছে। যদিও, আসন্ন সেমেস্টারের পরীক্ষা বয়কট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পড়ুয়ারা। অন্যদিকে, বিশ্ববিদ্যালয়ে অচলাবস্থা কাটাতে তিন সদস্যের কমিটি তৈরি করেছিল কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ মন্ত্রক। এই কমিটি তাদের রিপোর্টও জমা দিয়েছে কেন্দ্রকে। তবে, সরকারের তরফে এখনও কিছু ঘোষণা করা হয়নি।