উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে বাধার মধ্য দিয়ে অগ্রসর হতে হবে। উচ্চতর বিদ্যার ক্ষেত্রে শুভ ফল পাবে। কর্মপ্রার্থীদের ... বিশদ
এদিনই প্রথম মহারাষ্ট্র নিয়ে মুখ খুলেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি বলেছেন, যখন প্রধানমন্ত্রী মোদি প্রকাশ্য সভায় বলেছিলেন, বিধানসভা ভোটে বিজেপি-সেনা জোট জিতলে মুখ্যমন্ত্রী হবেন ফড়নবিশ, তখন কেউ আপত্তি করেনি। বিজেপিও তাই পরিস্থিতির সুযোগে তলে তলে সরকার গড়তে মরিয়া হয়েছে। যেহেতু ২৯ জন নির্দল বিধায়ককে সঙ্গে পেলেও বিজেপি ম্যাজিক ফিগারে (১৪৫) পৌঁছতে পারবে না, ফলে মহারাষ্ট্রে ঘোড়া কেনাবেচা বাড়বে বলেই অভিযোগ করেছে শিবসেনা ও কংগ্রেস। দেবেন্দ্র ফড়নবিশের পরামর্শ মতো বিজেপির নারায়ণ রানে প্রয়োজনীয় সংখ্যা জোগাড়ে নেমেছেন। তবে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কংগ্রেসের পৃথ্বীরাজ চৌহান কার্যত চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে বলেছেন, ‘অপারেশন লোটাস’ কীভাবে রুখতে হয়, তা আমরা জানি। তাছাড়া আজ সুপ্রিম কোর্ট কর্ণাটকের দল বদল করা বিধায়কদের সম্পর্কে রায় দেওয়ার পর বিজেপি কিছুটা হলেও সমঝে চলবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
অন্যদিকে, রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হওয়ায় সবচেয়ে বেশি ফাঁপরে পড়েছে শিবসেনা। না পারছে ফের এনডিএ’তে ফিরে যেতে। না পারছে কংগ্রেস, এনসিপি’কে চাপ দিতে। তাই সুপ্রিম কোর্টে মামলা করলেও তার দ্রুত শুনানির আবেদন করেনি শিবসেনা। কংগ্রেস ও এনসিপির মুখের দিকে তাকিয়ে তারা। আর সেই সুযোগ নিয়ে শিবসেনাকে কিছুটা লেজে খেলাচ্ছে এনসিপি, কংগ্রেস। তাছাড়া সঞ্জয় নিরুপম, এ কে অ্যান্টনির মতো প্রথম সারির কংগ্রেস নেতারা প্রয়াত বাল থ্যাকারের দলের হাত ধরার বিপক্ষে। তাঁদের মতে, এতে কংগ্রেসের ভাবমূর্তিতে প্রভাব পড়বে। যদিও সোনিয়া গান্ধী ইতিমধ্যে আহমেদ প্যাটেলের মাধ্যমে মহারাষ্ট্র প্রদেশ কংগ্রেসকে বিতর্ক না বাড়িয়ে দ্রুত সরকার গড়ার নির্দেশ দিয়েছেন। আর সেই মতোই এগচ্ছে মহারাষ্ট্র প্রদেশ কংগ্রেস। গতকাল গভীর রাত পর্যন্ত বৈঠক হয় শিবসেনা প্রধান উদ্ধব থ্যাকারের সঙ্গে আহমেদ প্যাটেলের। আর আজ সকালে উদ্ধব দেখা করেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বালাসাহেব থোরাটের সঙ্গে। বৈঠকের পর উদ্ধব থ্যাকারে বলেছেন, আমাদের আলোচনা ঠিক দিকেই এগচ্ছে। কংগ্রেস ও এনসিপি সূত্রে খবর, উদ্ধবকে মুখ্যমন্ত্রী করেই সরকার গড়ার পথে এগনোর প্রস্তুতি চলছে। কারণ, শিবসেনার শর্ত একটাই, মুখ্যমন্ত্রীর পদ।