শরীর ভালো যাবে না। সাংসারিক কলহবৃদ্ধি। প্রেমে সফলতা। শত্রুর সঙ্গে সন্তোষজনক সমঝোতা। সন্তানের সাফল্যে মানসিক ... বিশদ
বাংলায় অসমের মতো এনআরসি করতে হবে। কেন্দ্রের শাসকদলের সর্বোচ্চ স্তর থেকে এই দাবি তোলা হচ্ছে। রাজ্যের শাসক ও অবিজেপি দলগুলি এককাট্টা হয়ে তার বিরোধিতায় সরব হয়েছে। রাজ্য বিধানসভা অধিবেশনে তৃণমূলের সঙ্গে গলা মিলিয়ে কংগ্রেস ও বামফ্রন্ট একযোগে বাংলায় এনআরসি রোখার পক্ষে বেসরকারি প্রস্তাব গ্রহণ করেছিল। কেন্দ্রকে বস্তুত চ্যালেঞ্জ জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এনআরসি বিরোধী পদযাত্রা করেন মহানগরীতে। এই প্রতিবাদ আন্দোলনের মধ্যেই এর মোকাবিলায় প্রস্তুতি শুরু করলেন সিদ্দিকুল্লা সাহেব। তিনি বলেন, এনআরসি নিয়ে কালো মেঘ দেখতে পাচ্ছি। নিজেদের ঘর ঠিক আছে কি না, সেটা বুঝে নিতে হবে। তাই এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন জমিয়তে উলেমায় হিন্দের এই শীর্ষ নেতা। তিনি জানান, তাঁদের এই সংগঠনের উদ্যোগে এবার আইনি সহায়তা দেওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। তৈরি হচ্ছে জেলাভিত্তিক লিগ্যাল সেল। সিদ্দিকুল্লা সাহেব বলেন, মুসলমান সম্প্রদায়ের পাশাপাশি মতুয়া সম্প্রদায়ের জয়েন্ট অ্যাকশন কমিটিকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। প্রাক্তন বিচারপতি সহ বেশ কয়েকজন আইন বিশেষজ্ঞ এই আলোচনাচক্রে অংশ নেবেন। শুধু তাই নয়, এনআরসি’র ইতিহাস, অসমের ঘটনার পর্যালোচনা থেকে শুরু করে ভারতের নাগরিকত্ব সংক্রান্ত বিষয়ে সাধারণের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করাই এই কর্মশালার
অন্যতম উদ্দেশ্য বলে জানান তিনি। তাঁর মতে, অসমের অভিজ্ঞতার জেরে বাংলার মানুষ শঙ্কিত। রাজ্যের সীমান্ত বরাবর ২,২০০ কিলোমিটার
এলাকায় বসবাসকারী মানুষ আতঙ্কিত। ওইসব বাসিন্দার নাগরিকত্ব সংক্রান্ত নথিপত্র তৈরির জন্য আইনি সহায়তা জমিয়তে উলেমায় হিন্দের লিগ্যাল সেলের প্রতিনিধিরা
দেবেন বলে জানা গিয়েছে।