শরীর ভালো যাবে না। সাংসারিক কলহবৃদ্ধি। প্রেমে সফলতা। শত্রুর সঙ্গে সন্তোষজনক সমঝোতা। সন্তানের সাফল্যে মানসিক ... বিশদ
যদিও রাজ্য বিজেপির অন্যতম সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু এই অস্বস্তির প্রসঙ্গ পুরোপুরি খারিজ করে দিয়েছেন। তাঁর দাবি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক মূল্য এখন শূন্যে এসে ঠেকেছে। এই মুহূর্তে পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির যা সাংগঠনিক শক্তি, তাতে তৃণমূলকে আমাদের কোনওভাবেই দরকার নেই। বরং শাসক শিবিরকে রাজনৈতিকভাবে পরাস্ত করার কাজে আমরা তৈরি হচ্ছি। তাই রাজ্যের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে যাঁরা ওয়াকিবহাল নন, সেই অবিবেচকরাই সেটিংয়ের তত্ত্ব খাড়া করছে, সায়ন্তনবাবুর কথায়, মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দেশের প্রধানমন্ত্রী-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক খুবই স্বাভাবিক। কিন্তু সিবিআইয়ের সক্রিয়তার সঙ্গে এই বৈঠকগুলির কোনও সম্পর্ক নেই বলেও সাফ জানান বিজেপির ওই নেতা। তাঁর কথায়, বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী যখন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করছেন, তখন কলকাতায় সিবিআইয়ের অফিসাররা বাড়তি উদ্যমে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন। তা থেকেই বোঝা যায়, মমতার সঙ্গে বৈঠকের পরও কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা আইন অনুসারে পদক্ষেপ করছে। অর্থাৎ রাজনৈতিক দল কিংবা সংবাদমাধ্যমের একাংশের তরফে সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করার জন্য এই প্রচার করা হচ্ছে বলেও দাবি সায়ন্তন বসুর। বিজেপির আরও এক রাজ্য কমিটির নেতার কথায়, আগের জমানা আর নেই। রাজনাথ সিং-অরুণ জেটলিকে ধরে কেন্দ্রীয় সরকারকে প্রভাবিত করার মমতার দীর্ঘদিনের ছক এখন আর চলবে না। লোকসভা ভোটের আগে মোদি-শাহের হেলিকপ্টার নামতে না দেওয়া, দুই নেতাকে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ কিছু বাকি রাখেননি মুখ্যমন্ত্রী। সেক্ষেত্রে সেই মোদি-শাহের কাছে যাওয়ার জন্য মমতার বাড়তি সক্রিয়তা বিজেপিরই নৈতিক জয় বলে উল্লেখ করেছেন ওই নেতা।