সামাজিক কল্যাণ কর্মে সাফল্য ও জনখ্যাতি। বাতজ সমস্যায় বিব্রত হতে পারেন। কাজ কারবারে শুভ। ... বিশদ
ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক বা ডিসকভারি চ্যানেলে ডলফিনের জলকেলি কমবেশি সবারই দেখা। কিন্তু এই বাংলায় বসে ডলফিনকে চোখে দেখতে পাওয়ার কোনও সুযোগ নেই। পাশের রাজ্য অসমের দিব্রু শিখাওয়া ন্যাশনাল পার্কে ডলফিন থাকলেও ভৌগোলিক অবস্থান ও আবহাওয়াগত কারণে বাংলায় ডলফিন রাখা যায়নি। এবার সেটাই হতে চলেছে। সৌজন্যে আলিপুর চিড়িয়াখানা। পশুশালার ১৫০ বছরের জন্মদিনে রাজ্যবাসী তথা শহরবাসীদের জন্য এ যেন সত্যিকারের এক ‘সারপ্রাইজ’! ডলফিন আনা নিয়ে রাজ্য সরকারের বনদপ্তরের তরফে যাবতীয় প্রক্রিয়া ইতিমধ্যে চূড়ান্ত করে ফেলা হয়েছে। সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে আসন্ন শীতের মরশুমেই চিড়িয়াখানায় দেখা মিলবে ডলফিনের।
১৮৭৫ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর প্রতিষ্ঠা হয় আলিপুর চিড়িয়াখানার। মঙ্গলবার রাজ্যের অন্যতম জনপ্রিয় এই জুলজিক্যাল পার্কের ১৫০ বছরের জন্মদিন সাড়ম্বরে পালিত হয়। চিড়িয়াখানায় বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল এদিন। নতুন করে তৈরি দু’টি প্রবেশদ্বার উদ্বোধন করেন কলকাতার মেয়র তথা মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বনমন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা সহ পদস্থ আধিকারিকরা। ছিলেন চিড়িয়াখানার অধিকর্তা শুভঙ্কর সেনগুপ্ত। সেখানে জানানো হয়, আগামী এক বছর ধরে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে চিড়িয়াখানার সার্ধশতবর্ষ উদযাপন করা হবে। আরও বেশ কিছু পশুপ্রাণী এই পশুশালায় আনার জন্য পরিকল্পনা চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছে। বনদপ্তর সূত্রে খবর, এর মধ্যেই সবচেয়ে বেশি আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হতে চলেছে ডলফিন। কলকাতার আবহাওয়ায় ডলফিনের মানিয়ে নেওয়া কষ্টকর। তাই তাদের জন্য উপযুক্ত পরিমণ্ডল তৈরি করছে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ। বনমন্ত্রী বলেন, ‘ডলফিনের জন্য পৃথক খাঁচা তৈরির কাজ চলছে। খুব শীঘ্রই ডলফিনের ঝাঁপ উপভোগ করতে পারবেন দর্শকরা।’ সূত্রের খবর, গ্রিন অ্যানাকোন্ডাও চিড়িয়াখানাতে আনার পরিকল্পনা চলছে। তবে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত এখনও হয়নি। এর আগে ইয়েলো অ্যানাকোন্ডা আনা হয়েছিল। এদিন দু’টি মাউস ডিয়ার দত্তক নেন বনমন্ত্রী। সেই সঙ্গে তিনি রাজ্যের সব চিড়িয়াখানার কর্মীদের জন্য ৫ লক্ষ টাকার বিমা ঘোষণা করেছেন।
এদিনের অনুষ্ঠানে আলিপুর চিড়িয়াখানার তরফে বিশেষ সম্মান প্রদর্শন করা হয় পশুশালার প্রতিষ্ঠাকালের সুপারিনটেন্ডেন্ট রামব্রহ্ম সান্যালকে। ১৮৭৫ সাল থেকে ১৯০৮ সাল পর্যন্ত চিড়িয়াখানার দায়িত্ব সামলেছেন তিনি। চিড়িয়াখানার মূল অডিটোরিয়ামের বাইরে তাঁর মূর্তি উন্মোচন করা হয়। উপস্থিত ছিলেন রামব্রহ্ম স্যান্যালের নাতি সোমনাথ সান্যাল।