সামাজিক কল্যাণ কর্মে সাফল্য ও জনখ্যাতি। বাতজ সমস্যায় বিব্রত হতে পারেন। কাজ কারবারে শুভ। ... বিশদ
আরামবাগে ভোট পরবর্তী সময়ে তৃণমূল কর্মীদের ওপর আক্রমণের ঘটনা বাড়ছে। তৃণমূল নেতৃত্বের তরফে পুলিস প্রশাসনের কাছে এলাকায় শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য আবেদন জানানো হয়েছে। খানাকুল বিধানসভার বেশ কিছু এলাকায় গত সোমবার ভোটের দিন ছোটখাটো অশান্তির ঘটনা ঘটে। মঙ্গলবার রাতে বালিপুর পঞ্চায়েত এলাকার তৃণমূলের বুথ এজেন্ট গৌতম মেটেকে কোদালের বাঁট দিয়ে মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়। সৌরভ মাইতি নামে আরেক কর্মী জখম হন। গৌতম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বলেন, গতকাল রাত সাড়ে ন’টার সময় মেয়ের ওষুধ কিনতে বেরিয়েছিলাম। সেই সময় বিজেপির জনা দশেক দুষ্কৃতী আমার উপর হামলা চালায়। গত দশ বছর ধরে এলাকায় তৃণমূল করছি। এই ভোটের সময় বুথ এজেন্টের দায়িত্বে ছিলাম। ঠাকুরদাস মণ্ডল, দীপ সাধুখাঁ, প্রসাদ বাইরী, সৌরভ জানা আমাকে ঘিরে ধরে মারধর করে। মাথা ফাটিয়ে দেয়। দলীয় নেতৃত্বকে বিষয়টি জানিয়েছি। বালিপুর পঞ্চায়েতের উপপ্রধান শেখ গোলাম নবী বলেন, পরিকল্পিতভাবে তৃণমূলের দুই কর্মীকে মারধর করা হয়েছে। এলাকায় তৃণমূলের প্রভাব খতম করার লক্ষ্যে এই হামলা চালানো হয়েছে। থানায় অভিযোগ করা হবে। দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। আরামবাগ সংগঠনিক জেলা বিজেপির সভাপতি বিমান ঘোষ বলেন, তৃণমূল সাধারণ মানুষের ওপর ওই এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে অত্যাচার করেছে। এই ঘটনার সঙ্গে বিজেপির কোনও যোগ নেই। আরামবাগ সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান স্বপন নন্দী বলেন, তৃণমূলের ওই কর্মীকে যেভাবে মারধর করা হয়েছে তা ধিক্কারজনক। খানাকুলে তৃণমূল প্রার্থী মিতালি বাগের গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছিল। তৃণমূলের জেলা পরিষদের সদস্য কাশীনাথ মণ্ডলকে রাস্তায় ফেলে মারধর করা হয়। বিজেপি হারার ভয়ই এই ধরনের সন্ত্রাসমূলক কাজকর্ম চালাচ্ছে।