সামাজিক কল্যাণ কর্মে সাফল্য ও জনখ্যাতি। বাতজ সমস্যায় বিব্রত হতে পারেন। কাজ কারবারে শুভ। ... বিশদ
গুসকরার চোঙদার বাড়ির পুজো প্রায় সাড়ে তিনশ বছরের পুরানো। তবে কার হাত ধরে পুজো শুরু হয় তা কেউ বলতে পারেন না। পুজোর নানা বিশেষত্ব রয়েছে। পুজোর ঘট পরিবর্তন করা হয় না। পরিবারের সদস্য মল্লিকা চোঙদার বলেন, একবার চোঙদার বাড়িতে দশমীর দিন পরিবারের পূর্বপুরুষ চতুর্ভুজ চোঙদার পুজো চলাকালীন মারা যান। তারপরেই তাঁর স্ত্রী বিদ্যাসুন্দরী দেবী দুর্গামন্দিরে স্বেচ্ছামৃত্যু বরণ করেন। সেই থেকেই দশমীর দিনে মা দুর্গার সামনে চতুর্ভুজ চোঙদার ও বিদ্যাসুন্দরীদেবীর শ্রাদ্ধানুষ্ঠান করা হয়। এখনও সেই প্রথা চালু রয়েছে। চোঙদারদের আগে চট্টোপাধ্যায় পদবি ছিল। পরে তাঁরা চোঙদার উপাধি পান। একসময় সাতটি গ্রামে বিস্তৃত ছিল জমিদারি। পুজোর দিনগুলিতে সেই সাত গ্রামের বাসিন্দারা জমিদার বাড়ির দুর্গাপুজো দেখতে আসতেন। ভোগ খাওয়ার পর পালা গান, যাত্রা শুনে বাড়ি ফিরতেন তাঁরা। দুর্গা দালানের পাশে রয়েছে ভোগ ঘর। এলাকাজুড়ে রয়েছে শতাধিক উনুনের ভগ্নাংশ। সেইসব উনুনেই জমিদারি আমলে অন্নভোগ তৈরি হতো। তবে পরিবারের সদস্যরা পুজোর চারদিন বেশিরভাগ সময় এই দুর্গাদালানেই কাটান। নিজেরা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। বিশাল জমিদার বাড়ির মধ্যে বিরাট দুর্গা দালান রয়েছে। দুর্গাপুজো ছাড়াও কালীপুজো ও জগদ্ধাত্রী পুজো হয়। সব ক’টিই বহুদিন ধরে হয়ে আসছে। চারদিনই হোম-যজ্ঞ হয়। চোঙদারদের পুজোর সেটাও এক উল্লেখযোগ্য দিক। এ ছাড়া নবমীর দিন হয় কুমারী পুজো। এলাকার বাইরে থেকেও অনেকে চোঙদার বাড়ির পুজো দেখতে আসেন। মহাষ্টমীর অঞ্জলিতে ভিড় উপচে পড়ে। এ ছাড়াও সপ্তমী থেকে দশমী চার দিনই প্রদীপ জ্বেলে রাখা হয়। খড়খড়ির জানালা চারিদিক ঘিরে রেখেছে দুর্গা দালানকে। বড় বড় কারুকাজ করা থামের আড়ালে এক চালের সাবেকি মা দুর্গাপ্রতিমা মন কাড়ে সবার।