সামাজিক কল্যাণ কর্মে সাফল্য ও জনখ্যাতি। বাতজ সমস্যায় বিব্রত হতে পারেন। কাজ কারবারে শুভ। ... বিশদ
১১৫৭ সালে সহস্ররাম বন্দ্যোপাধ্যায় বারুইপুরে আদি গঙ্গার পাড়ে উত্তর কল্যাণপুর গ্রামে আটচালায় শুরু করেছিলেন দুর্গাপুজো। হুগলির ভদ্রেশ্বরের তেলেনিপাড়া থেকে এসে বোড়াল ঘুরে বারুইপুরের উত্তর কল্যাণপুরে এসেছিলেন সহস্ররাম। তাঁর শুরু করা সে পুজো এবার ২৭৫ বছরে পা দিয়েছে। বন্দ্যোপাধ্যায় বাড়ির দুর্গা দালানে এখন সাজ সাজ রব। চলছে প্রতিমা তৈরি। বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবারের প্রতিমা একচালার। মাটির গয়না ও সাজ পরেন। মহিষ, হাঁস, প্যাঁচা নেই প্রতিমার সঙ্গে। পরিবারের সদস্য ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘মাহিনগরের ভবানীচরণ মুখোপাধ্যায় প্রথম পুরোহিত ছিলেন। তারপর হারাধন মুখোপাধ্যায় ৫০ বছর ধরে পুরোহিত। প্রতিপদ থেকেই শুরু হয় পুজো। চণ্ডীপাঠ হয়। সপ্তমী, অষ্টমী, সন্ধিপুজোয় একটি ছাগ, আর নবমীতে তিনটি ছাগ বলি হয়। নবমীতে আখ, চালকুমড়োও বলি দেওয়া হয়। সন্ধিপুজোর নির্দিষ্ট সময় দোনলা বন্ধুক ছোড়ার রীতি।’ এই পরিবারের আর এক সদস্য সুভাষ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘অন্ন ও খিচুড়িভোগের আয়োজন করেন বাড়ির দীক্ষিত মহিলারা। পাঁচ রকম ভাজা, শুক্ত, নানা ধরনের ডাল, লাউ-চিংড়ি্, মাছ, মাংস, চাটনি, পিঠেপুলি, পায়েস হয় ভোগে। দশমীতে অরন্ধন। সেদিন পান্তা, কচুর শাক, ডাল, মাছ, চিংড়ি ভাজা হয়। নবমীর দিন আয়োজন হয়ে যায় ভোগের। বিসর্জনের পর শুরু হয় রান্না। দশমীতে মহিলাদের সিঁদুর খেলা দেখতেই ভিড় জমে দুর্গাদালানে।’ পরিবারের অন্য এক সদস্য কেদার বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘দুর্গাদালানের সামনে পাঁচ রকম ফল ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। যাকে রচনা বলে। এবার ২৭৫ বছরে পুজোর পত্রিকার সূচনা হবে। বারুইপুরে বহু প্রাচীন পুজোর প্রতিনিধিদের আমন্ত্রণ জানানো হবে পুজোয়।’