সামাজিক কল্যাণ কর্মে সাফল্য ও জনখ্যাতি। বাতজ সমস্যায় বিব্রত হতে পারেন। কাজ কারবারে শুভ। ... বিশদ
শহরের সবুজ সঙ্ঘ ক্লাব প্রতিবারই পুজোয় চমক দেয়। সেরার শিরোপা তারা বহুবার ছিনিয়ে নিয়েছে। এবার পুজোয় তারা আমেরিকার স্বামীনারায়ণ মন্দির তুলে আনছে। মণ্ডপের বাইরে থাকছে রাজস্থানের ছোঁয়া। পুজো কমিটির সহ সভাপতি উজ্জ্বল চক্রবর্তী বলেন, মণ্ডপের ভিতর ঢুকলে মনে হবে মার্বেল পাথর দিয়ে তৈরি হয়েছে। যে কারও চোখ জুড়িয়ে যাবে। প্রতিমা আসছে কলকাতা থেকে। প্রতিমাও দর্শনার্থীদের নজর কাড়বে। মণ্ডপের বাইরের দিকে থাকবে রাজস্থানের শিল্পকর্মের ছোঁয়া। আলোকসজ্জাও নজর কাড়বে। প্রতি বছরের মতো এবারও আমাদের পুজো জেলার বাসিন্দাদের নজর কাড়বে।
ইছলাবাদ কিরণ সঙ্ঘ রাম মন্দিরের আদলে মণ্ডপ তৈরি করছে। এখানে বাড়তি আকর্ষণ ড্রোন। দর্শনার্থীদের উপর পুষ্পবৃষ্টি করা হবে। পুজো উদ্যোক্তা বাবুনি মজুমদার, পার্থ ধর বলেন, রাম মন্দিরে যা যা রয়েছে সবটাই মণ্ডপে থাকবে। বিভিন্ন ধরনের স্ট্যাচু থাকবে। সঙ্গে আলোর রোশনাই নজর কাড়বে। তবে মণ্ডপে রামলালার পরিবর্তে দুর্গা প্রতিমা থাকবে। মূর্তি অন্য ধাঁচে তৈরি হচ্ছে। সুউচ্চ মণ্ডপ তৈরির কাজ বেশ কিছুদিন আগে থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে। ভিড় সামাল দিতে পুজো উদ্যোক্তারা বিশেষ ব্যবস্থা নিচ্ছেন।
তেলিপুকুর সুকান্ত স্মৃতি সঙ্ঘের এবার থিম ‘করি যন্ত্রের বন্দনা, তবু যন্ত্রেই যন্ত্রণা’। যন্ত্র মানব সভ্যতাকে এগিয়ে দিয়েছে। কিন্তু যন্ত্রণাও বাড়িয়েছে। সেটা থিমের মাধ্যমে এখানে তুলে ধরা হয়েছে। পুজো উদ্যোক্তা রাসবিহারী হালদার বলেন, এবার আমাদের পুজো ৪৩ বছরে পা দিচ্ছে। মণ্ডপে যন্ত্রের বিভিন্ন কারুকার্য তুলে ধরা হয়েছে। আবার এই যন্ত্র মানুষের জীবনকে কতটা অসহনীয় করেছে সেটাও ফুটিয়ে তোলা হচ্ছে। ফাইবারের পাইপ এবং বিশেষ ধরনের পাথর দিয়ে মূর্তি তৈরি করা হচ্ছে। প্রতিমায় প্রতিবারই আমাদের চমক থাকে। এবারও তার ব্যতিক্রম হবে না।
বর্ধমান শহরে পুজো উদ্যোক্তাদের মধ্যে সেরার শিরোপা ছিনিয়ে নেওয়ার জন্য অঘোষিত প্রতিযোগিতা শুরু হয়। কেউ ভাবনায় আবার কেউ অভিনবত্বে চমক দিয়ে দর্শনার্থীদের মন জয় করতে চায়। প্রতিবারই নতুন নতুন থিম চাক্ষুষ করার সুযোগ পান জেলার বাসিন্দারা।