সামাজিক কল্যাণ কর্মে সাফল্য ও জনখ্যাতি। বাতজ সমস্যায় বিব্রত হতে পারেন। কাজ কারবারে শুভ। ... বিশদ
অসমের আশারীকান্দি ঘরানার আদলে তৈরি হচ্ছে গোটা মণ্ডপ। টেরাকোটার হাতিমার অনুকরণে মণ্ডপসজ্জা ও প্রতিমা নজর কাড়বে বলে আশাবাদী উদ্যোক্তরা। দু’মাস ধরে চলছে মণ্ডপসজ্জার কাজ। কাদামাটির প্রতিমা তৈরির পর সেগুলি পুড়িয়ে সাজিয়ে তোলা হচ্ছে মণ্ডপ। ২০০টি টেরাকোটা মূর্তি দিয়ে গোটা মণ্ডপ সাজিয়ে তোলা হবে বলেই জানান শিল্পী অমিত দাস। তিনি নিজেও এই ক্লাবের সদস্য। প্রাচীন বটতলায় টেরাকোটা মন্দিরের গর্ভগৃহে থাকবে দেবী প্রতিমা। সেই মণ্ডপ দর্শন করার পর ক্লাবের মন্দিরে আরও একটি সাবেকি মূর্তি দর্শন করতে পারবেন দর্শনার্থীরা। একটি একচালার সাবেকি প্রতিমাতে এবার পুজো করা হবে। সেই প্রতিমার মাটির কাজও শেষ করে ফেলেছেন শিল্পী।
অমিতবাবু বলেন, মূল মণ্ডপসজ্জায় টেরাকোটার ধাঁচের দুর্গাপ্রতিমা তৈরি হচ্ছে। প্রায় দু’মাস ধরে মণ্ডপসজ্জার কাজ চলছে। কাদামাটির প্রতিমা তৈরির পর সেগুলি পুড়িয়ে সাজিয়ে তোলা হবে মণ্ডপে। তবে সব মূর্তি পোড়ানোর হয়তো সময় পাব না। ২০০টি টেরাকোটা মূর্তি দিয়ে গোটা মণ্ডপ সাজিয়ে তোলা হচ্ছে। বিভিন্ন ধাপে ধাপে মণ্ডপটি তৈরি করে সেগুলি একত্রে ইন্সটল করা হবে। গতবার আমাদের থিম ছিল পুতুলনাচের ইতিকথা। পিছিয়ে পড়া শিল্পকর্ম ফুটিয়ে তুলছি। এর ফলে পুজোর মাধ্যমে যাঁরা নিজের জীবিকা অর্জন করতে চান তাঁদের একটা বার্তা দেওয়া হয়। পাশাপাশি গ্রামবাংলার টেরাকোটা শিল্পের প্রচার ও প্রসার ঘটবে। থিমের পুজোর পাশাপশি ক্লাবের মন্দিরে মূল মাতৃপ্রতিমার পুজো হবে। এবার বাজেট আমাদের চার লক্ষ টাকা।
মাঝেমধ্যেই বৃষ্টি হওয়ায় মাটির কাজে সমস্যা হচ্ছে। তাই নিজের ছাত্রদেরও কাজে লাগিয়েছেন অমিতবাবু। কেউ তুলি দিয়ে মাটির কলসিতে এঁকে চলেছে আলপনা, আবার কেউ মাটি দিয়ে তৈরি করছে মূর্তি। খুদে শিল্পীরাও কাজ করতে পেরে আনন্দিত। তারা বলে, আমাদের হাতেও সেজে উঠছে পুজো মণ্ডপ। খুব আনন্দ হচ্ছে।