সামাজিক কল্যাণ কর্মে সাফল্য ও জনখ্যাতি। বাতজ সমস্যায় বিব্রত হতে পারেন। কাজ কারবারে শুভ। ... বিশদ
বাংলাদেশের দিনাজপুরের রাজবাড়িতে কামান দাগার শব্দ শুনে দুর্গাপুজোর ঘট বসত উদগ্রামে। সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে দুই বঙ্গের বিভাজন হলেও এই দুর্গাপুজোয় প্রভাব পড়েনি। পুজো কমিটির সম্পাদক জীবন সরকার বলেন, এই পুজো প্রায় চারশো বছর ধরে হচ্ছে। বাংলাদেশের দিনাজপুরের রাজবাড়িতে কামানের আওয়াজ হলে এখানে পুজোর ঘট বসত। এখন ষষ্ঠীতে ঘট বসে। গ্রামের মানুষ নিরামিষ খেয়ে পুজোর আয়োজন করেন। চারদিন মুখোশ নাচ, চণ্ডীমঙ্গল গান হয়। পুজো কমিটির সভাপতি হেমন্ত দাস বলেন, মায়ের এক চালার প্রতিমা হয়। দুর্গা, তাঁর সন্তান এবং বাহনরা একচালার মধ্যেই থাকেন। পুজোর পর সারা বছর মন্দিরেই হয় দেবীর পুজো। জন্মাষ্টমীর পর পুকুরে বিসর্জন দিয়ে সেই কাঠামোতেই প্রতিমা গড়ে পুজোর আয়োজন করি।
পুজোর ক’দিন বাসিন্দারা কেউ গ্রাম ছেড়ে বাইরে পুজো দেখতে যান না। এমনটাই হয়ে আসছে বহু বছর ধরে। জেলার ইতিহাসবিদ বৃন্দাবন ঘোষ বলেন, এই পুজো জেলার প্রাচীন দুর্গাপুজোর মধ্যে অন্যতম। মন্দির সংলগ্ন এলাকা থেকে পাল আমলের বিষ্ণুমূর্তি উদ্ধার হয়েছিল। প্রাচীন শিলালিপিতে এই গ্রামের নাম উল্লেখ আছে।
বিয়ের অনুষ্ঠান হলে গ্রামের কোনও বাড়িতে ছাদনাতলা হয় না। মায়ের মন্দিরের সামনে ছাদনাতলা তৈরি করে বিয়ের অনুষ্ঠান হয়। দেশভাগের আগে দুই বাংলার মানুষ একসঙ্গে পুজো করলেও এখন উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন এলাকা থেকে ভক্তরা আসেন।