সামাজিক কল্যাণ কর্মে সাফল্য ও জনখ্যাতি। বাতজ সমস্যায় বিব্রত হতে পারেন। কাজ কারবারে শুভ। ... বিশদ
কুট্টিটোলা সর্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটির পুজো পরিচালনা করে স্থানীয় সহযোগিতা ক্লাব। পুজো কমিটির সম্পাদক মুকুল গোস্বামী বলেন, আমাদের এবছরের পুজোর থিম ‘স্মৃতির আলো’। পুরনো দিনে যেভাবে পাড়ায় একটি বাড়িতে বিয়ের অনুষ্ঠান হতো সেটাই থিমের মধ্যদিয়ে ফুটিয়ে তোলা হচ্ছে। মাটির লম্বা টেবিলে একসঙ্গে অনেকে মিলে খেতে বসা। কলাপাতায় মাটির ভাড়ে খাওয়াদাওয়া করা। আমরা কিছু বছর আগেও দেখেছি বাড়িতে বিয়ের অনুষ্ঠান থাকলে ময়রা ডেকে রসগোল্লা সহ নানা প্রকার মিষ্টি তৈরি করা হতো। সেসময় ক্যাটরিংয়ের প্রচলন ছিল না। বাড়িতেই সমস্ত খাবার রান্না করা হতো। পাড়ার বন্ধু, কাকারা কোমরে গামছা বেঁধে সেই খাবার অতিথিদের মধ্যে পরিবেশন করতেন।
পুজো উদ্যোক্তারা জানান, বিয়ে বাড়ির খুঁটিনাটি বিষয়গুলি বিভিন্ন মডেল দিয়ে তুলে ধরা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই ৩৪টি মডেল তৈরির কাজ প্রায় হয়ে গিয়েছে।
কুট্টিটোলা সর্বজনীন দুর্গোৎসবে পুজোর চার দিনই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ষষ্ঠী থেকে নবমী, প্রতিদিন সন্ধ্যায় ঢাক বাজিয়ে মায়ের আরতি করা হয়। মহা নবমীতে মায়ের ভোগের বিশাল আয়োজন করা হয়। পাড়ার বাসিন্দারা তো পাত পেড়ে খাবেনই, সেইসঙ্গে দর্শনার্থীদের মধ্যেও ভোগ বিতরণ করা হয়। পুজো কমিটির অন্যতম উদ্যোক্তা ও ক্লাব সম্পাদক অভিজিৎ পাল বলেন, আগে একটি বিয়েবাড়িকে কেন্দ্র করে পাড়ার বাসিন্দাদের মধ্যে যে নিবিড় আন্তরিকতার সম্পর্ক ছিল সেটাই আমরা তুলে ধরার চেষ্টা করছি।