চাকরিজীবীদের কর্মোন্নতি ও পদোন্নতির সঙ্গে বেতন বৃদ্ধির যোগ। যানবাহন চালনায় সতর্ক হন। ... বিশদ
চম্পাহাটি-হাড়াল আতশবাজি ব্যবসায়ী সংগঠন জানিয়েছে, এবার প্রায় ১২ হাজার টন বাজি বিক্রি করেছে তারা, যার অর্থমূল্য প্রায় ২০০ কোটি টাকা। বলরামপুর আতশবাজি শ্রমিক কর্মচারী ও ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক শুকদেব নস্কর জানিয়েছেন, বজবজ, নুঙ্গি মিলিয়ে বিক্রি হয়েছে প্রায় ৫০ কোটি টাকার বাজি। হাওড়ার বাজি বাজারে সাতদিনে প্রায় দেড় কোটি টাকার বাজি বিক্রি হয়েছে। সংশ্লিষ্ট বাজার কমিটির সম্পাদক সৌমিত্র মণ্ডল বলেন, ‘প্রশাসনের নজর এড়িয়ে প্রচুর অসাধু ব্যবসায়ী ফুটপাতজুড়ে শব্দবাজি বিক্রি করেছে। এক্ষেত্রে পুলিস আরও কড়া হলে বাজি বাজারের বিক্রি আরও বাড়ত।’ কলকাতায় ময়দান, টালা, কালিকাপুর ও বেহালার বাজি বাজারে প্রায় এক কোটি টাকার বাজি বিক্রি হয়েছে খবর। টালা বাজি বাজারের অন্যতম উদ্যোক্তা শুভঙ্কর মান্না বলছিলেন, ‘এখানে বাইরের হকাররা বাজি নিয়ে খুব একটা বসেননি। তাই বাজারে ভালো বিক্রি হয়েছে।’
সারা বাংলা আতশবাজি সমিতির চেয়ারম্যান বাবলা রায় বলেন, ‘বাংলাজুড়ে এবার ১০২টি বাজি বাজার বসেছিল। উত্তরবঙ্গে ৪২টি এবং দক্ষিণবঙ্গে ৬০টি। কিন্তু চাহিদার তুলনায় এতগুলি বাজারও পর্যাপ্ত নয়। বাজারের সংখ্যা বাড়লে আগামী দিনে ব্যবসার অঙ্ক আরও বাড়বে।’ প্রস্তুতকারক, ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গিয়েছে, এই শিল্পে অসংগঠিত শ্রমিকের সংখ্যা প্রচুর। ফলে ব্যবসার মোট পরিমাণ হিসেব করা বেশ কঠিন। তারপরও বাজি ব্যবসার সঙ্গে জড়িত বিভিন্ন মহলের বক্তব্য, বাজি কিনতে যেভাবে বাঙালির উৎসাহ চোখে পড়েছে, তাতে মোট ব্যবসার পরিমাণ অন্তত ৪ হাজার কোটি তো হবেই।