সামাজিক কল্যাণ কর্মে সাফল্য ও জনখ্যাতি। বাতজ সমস্যায় বিব্রত হতে পারেন। কাজ কারবারে শুভ। ... বিশদ
কিছুদিন আগেই দিল্লির কাছে গ্রেটার নয়ডায় এক সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেছিলেন, ‘ভারত হবে বিশ্বের সেমি কন্ডাকটর হাব। ভারতের বেশ কিছু প্রান্তে গড়ে তোলা হবে বিভিন্ন উৎপাদন ইউনিট।’ মার্কিন সফরে গিয়ে সেই ঘোষণাই হয়েছে। সোমবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও জানিয়েছেন, বিগত কয়েক বছর ধরে সেমি কন্ডাকটর উৎপাদন ইউনিট যাতে কলকাতায় গড়ে তোলা যায়, সেব্যাপারে লাগাতার উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্য সরকার। সংশ্লিষ্ট সংস্থাদের সঙ্গেও কথা বলেছে। অবশেষে সেই লক্ষ্যপূরণ হচ্ছে।
ঠিক একইভাবে বাণিজ্য মন্ত্রক যে বস্ত্রশিল্পের সাপ্লাই চেইন গড়ে তোলার চেষ্টা করছে, সেখানে কলকাতা তথা বাংলার নাম থাকা জরুরি বলেই মনে করছিল নবান্ন। ২০১৯ সালের পর থেকেই এ নিয়ে আগ্রহও চোখে পড়ছিল। বাণিজ্য মন্ত্রক সূত্রে জানা যাচ্ছে, ভারতে বস্ত্রশিল্পের মোট সম্পদ ১০ লক্ষ কোটি টাকার বেশি। আগামী পাঁচ বছরে এই অঙ্ককে ২০ লক্ষ কোটি টাকায় নিয়ে যাওয়া সম্ভব। শুধু বস্ত্র উৎপাদন নেটওয়ার্ককে একটি উৎপাদন, সরবরাহ, রপ্তানি চেইনে আবদ্ধ করতে হবে। টেক্সটাইল শিল্প যে রাজ্যগুলিতে গ্রাম, ব্লক, শহর পর্যন্ত ছড়ানো, সেগুলিকে একটি কেন্দ্রীয় নেটওয়ার্ক চেইনের আওতায় নিয়ে আসার লক্ষ্যে তৈরি হবে টেক্সটাইল ক্লাস্টার। ২০২২ সালে একবার এই ঘোষণা হয়েছে। যদিও পূর্ণাঙ্গভাবে সেই ঘোষণা রূপায়িত করা যায়নি। আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে ভারতের বস্ত্র রপ্তানি বাণিজ্যকে সর্বোচ্চ স্তরে নিয়ে যেতে চায় কেন্দ্র। বাংলাদেশ, মালয়েশিয়া, ভিয়েতনামকে টেক্কা দেওয়াই লক্ষ্য। বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থার জেরে বস্ত্রবাণিজ্য মুখ থুবড়ে পড়েছে। এই সুযোগ ভারতের কাছে বিশেষ ইতিবাচক। সেকাজে অন্যতম অংশীদার হবে বাংলাও। -ফাইল চিত্র