পেশাদারি উচ্চশিক্ষায় দ্রুত অগ্রগতি ও সেই সূত্রে কর্মপ্রাপ্তির সুবর্ণ সুযোগ আসতে পারে। মিত্রবেশী শত্রু দ্বারা ... বিশদ
গত বছর অক্টোবরে রোহিত শর্মার ব্যাট থেকে শেষ অর্ধশতরান এসেছিল। বেঙ্গালুরু টেস্টে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় ইনিংসে ৫৮ রান করেছিলেন। তারপর থেকে হিটম্যানের শনির সাড়ে সাতি দশা চলছে। হাফ সেঞ্চুরি তো দূরের কথা, ৩০-এর গণ্ডি টপকাতে পারেননি তিনি। অফ ফর্মের কারণে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে শেষ টেস্টে ক্যাপ্টেন নিজেই বেঞ্চে বসার সিদ্ধান্ত নেন। অধিনায়কের দায়বদ্ধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠলে পরের দিন সম্প্রচারকারী চ্যানেলে বড় বড় কথা বলে পরিস্থিতি সামাল দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু পিআর টিম আর কতদিন তাঁকে বাঁচাবে? দেশে ফিরে বোর্ডের চাপে রনজি ট্রফিতে খেলতে নেমেও চূড়ান্ত ব্যর্থ তিনি। রোহিতের টেস্ট কেরিয়ার যে বিশ বাঁও জলে, তা বলাই বাহুল্য। তবে সাদা বলের ক্রিকেটে তিনি সুপারস্টার। শুধু সেঞ্চুরি নয়, তিনটি ডাবল সেঞ্চুরিও রয়েছে তাঁর দীর্ঘ কেরিয়ারে। তাই হয়তো ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ওডিআই সিরিজে রোহিতকে স্বমহিমায় দেখার আশায় ছিলেন অনুরাগীরা। কিন্তু বৃহস্পতিবার নাগপুরেও ডাহা ফেল ভারতীয় অধিনায়ক।
প্রিয় ওডিআই ফরম্যাটেও টেল এন্ডারদের মতো উইকেট ছুড়ে এলেন হিটম্যান, যা দেখে উদ্বেগ বেড়েছে সমর্থকদের। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি দরজায় কড়া নাড়ছে। এমন পরিস্থিতিতে রোহিতের অফ ফর্ম রীতিমতো ভাবাচ্ছে টিম ম্যানেজমেন্টকে। শোনা যাচ্ছে, ভারতীয় অধিনায়ককে স্বেচ্ছা অবসরের পরামর্শও দেওয়া হয়েছে। তবে তার আগে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে মহাতারকাকে শেষ সুযোগ দিতে চায় বিসিসিআই। কিন্তু সেটা আবার বুমেরাং না হয়ে যায়। মেগা আসরে ক্যাপ্টেনকে বয়ে বেড়াতে হলে, দলের সাফল্য পাওয়া কঠিন। ৩৭ বছর বয়সি রোহিত যে কেরিয়ারের সায়াহ্নে দাঁড়িয়ে, তা ঠাহর করতে ক্রিকেটে বিশেষজ্ঞ হওয়ার প্রয়োজন নেই। এই সত্যি হিটম্যান যত তাড়াতাড়ি বুঝবেন, ততই ভালো।