পেশাদারি উচ্চশিক্ষায় দ্রুত অগ্রগতি ও সেই সূত্রে কর্মপ্রাপ্তির সুবর্ণ সুযোগ আসতে পারে। মিত্রবেশী শত্রু দ্বারা ... বিশদ
অভিষেক ম্যাচে বল হাতে জ্বলে উঠলেন হর্ষিত রানা। ৬০০ আন্তর্জাতিক উইকেটের মাইলফলক ছোঁয়ার পথে বুড়ো হাড়ে ভেল্কি দেখালেন জাদেজা। আশঙ্কা উড়িয়ে ভালো বল করলেন সামিও। পেস ও স্পিনের ছোবলে মাত্র ২৪৮ রানেই গুটিয়ে যায় ইংল্যান্ড। বোঝাই যাচ্ছিল, জয়ের কড়ি জোগাড়ে খুব বেশি সমস্যা হবে না টিম ইন্ডিয়ার। সেটাই হল। ৩৮.৪ ওভারে লক্ষ্যে পৌঁছয় ভারত (২৫১-৬)। তবে স্বস্তির জয়েও কাঁটা হয়ে বিঁধল রোহিতের ব্যর্থতা। সাত বল খেলে অধিনায়কের সংগ্রহ ২ রান। সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকেই বিদ্রুপ করে লিখলেন, ‘৯৮ রানের জন্য সেঞ্চুরি হাতছাড়া করলেন রোহিত!’ চোট পাওয়ায় খেলেননি বিরাট কোহলি। সেই সুযোগ কাজে লাগাতে পারলেন না যশস্বী জয়সওয়ালও। ওপেন করতে নেমে করলেন মাত্র ১৫। দলীয় ১৯ রানের মধ্যে জোড়া উইকেট হারিয়ে বেশ চাপে পড়ে গিয়েছিল টিম ইন্ডিয়া। তখন আড়াইশোর কম টার্গেটও মনে হচ্ছিল কঠিন। তবে চাপের মুখে পাল্টা আক্রমণে জয়ের পথ খোলেন শ্রেয়স আয়ার। উল্টো দিকে ঠান্ডা মাথায় স্কোরবোর্ড সচল রাখেন শুভমান গিল। তাঁদের যুগলবন্দিই গড়ে দেয় ফারাক। শ্রেয়স ৩৬ বলে ৫৯ রানে আউট হওয়ার পর বাঁহাতি অক্ষরকে সামনে ঠেলে দেন কোচ গম্ভীর। লোকেশ থাকা সত্ত্বেও টিম ম্যানেজমেন্টের এই সিদ্ধান্তে অনেকেই চমকে যান। কিন্তু গম্ভীর ঝুঁকি নিতে পছন্দ করেন। এই ফর্মুলাতেই রাতারাতি রিঙ্কু সিংয়ের দিনলিপি বদলে দিয়েছিলেন তিনি। অক্ষরও কোচের আস্থার মর্যাদা দিলেন ৪৭ বলে ৫২ রান করে। গিলের সঙ্গে জুটিতে তাঁর ম্যাচ শেষ করা উচিত ছিল। তিনি যখন বোল্ড হলেন রশিদের বলে, ম্যাচ তখন টিম ইন্ডিয়ার দখলে। কিন্তু জয়ের ব্যবধান কমল লোকেশের ব্যর্থতায়। সেঞ্চুরির মোহে গিলকে থামতে হলো ৮৭ রানে। শেষ পর্যন্ত দলের জয় নিশ্চিত করেন জাদেজা (অপরাজিত ১২) ও হার্দিক (অপরাজিত ৯) ।
টিম ইন্ডিয়া ৪-১ ব্যবধানে জিতেছিল টি-২০ সিরিজ। এই ইংল্যান্ড দলের হাল দেখে মনে হচ্ছে, ওয়ান ডে সিরিজও পকেটে পুরতে খুব বেশি বেগ পেতে হবে না ‘মেন ইন ব্লু’কে। আসলে টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্তই বুমেরাং হল বাটলারদের কাছে। অবশ্য ফিল সল্ট ও বেন ডাকেট শুরুটা যেভাবে করেছিলেন, তাতে মনে হয়েছিল অনায়াসেই তিনশো টপকে যাবে ইংল্যান্ড। কিন্তু বিনা উইকেটে ৭৫ থেকে ৭৭-৩ হতে লেগেছে মাত্র সাত বল। বলা ভালো, এটাই ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট। এক্ষেত্রে প্রশংসা করতেই হবে শ্রেয়সের। তাঁর দুরন্ত ফিল্ডিংয়ে রান আউট হন সল্ট (৪৩)। সেটাই ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট। তারপর ডাকেটের (৩২) অনবদ্য ক্যাচ ধরেন যশস্বী। দশম ওভারে হর্ষিতের শেষ ডেলিভারিতে হ্যারি ব্রুক (০) কট বিহাইন্ড হতে ম্যাচের রাশ চলে আসে ভারতের হাতে। ধাক্কা সামলে বাটলার (৫২) ও বেথেল (৫১) কিছুটা লড়াই করেন ঠিকই, কিন্তু তাঁরা ফিরতেই তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে ইংল্যান্ড।