পেশাদারি উচ্চশিক্ষায় দ্রুত অগ্রগতি ও সেই সূত্রে কর্মপ্রাপ্তির সুবর্ণ সুযোগ আসতে পারে। মিত্রবেশী শত্রু দ্বারা ... বিশদ
মরশুমের শুরুতে বেশ ঢাকঢোল পিটিয়ে জেমি ম্যাকলারেনকে সই করিয়েছিল মোহন বাগান। অস্ট্রেলিয়ান লিগের সর্বাধিক গোলদাতা। দলের হায়েস্ট পেইড ফুটবলারও। ইস্ট বেঙ্গল ও মহমেডানের বিরুদ্ধে জাল কাঁপালেও লিগের অধিকাংশ ম্যাচেই নামের প্রতি সুবিচার করতে ব্যর্থ সে। অজি বিশ্বকাপার নিজেও তা বুঝতে পারছিল। তাই বুধবার প্রথম গোলের পর বেশ রিল্যাক্সড দেখায় তাকে। যেন কিছুটা হাঁফ ছেড়ে বাঁচে। আর দ্বিতীয় গোলটার জন্য অবশ্যই কামিংসকে কৃতিত্ব দিতে হবে। ওর সাজিয়ে দেওয়া পাস থেকেই জাল কাঁপায় ম্যাকলারেন। তবে আমার মনে হয়, অজি স্ট্রাইকারকে আরও বেশি ধারাবাহিক হতে হবে।
জোড়া গোলে বুধবার মোহন বাগানের জয়ের নায়ক ম্যাকলারেন হলেও, আমার মতে ম্যাচের সেরা ফুটবলার অবশ্যই দীপ্যেন্দু বিশ্বাস। কী দারুণ ফুটবলারটাই না খেলল ছেলেটা। দুই বিদেশি ডিফেন্ডারের উপস্থিতিতে সেভাবে সুযোগ পাচ্ছিল না দীপ্যেন্দু। তবে গত ম্যাচে রাইট উইং-ব্যাক পজিশনে দারুণ ভাবে নিজেকে মেলে ধরে। আর বুধবার তো সেন্ট্রাল ডিফেন্সে দাপুটে ফুটবল খেলল। ম্যাচে একবারের জন্য ওকে দেখে মনে হয়নি, কোনওরকম চাপে রয়েছে। এভাবে নিজেকে ধরে রাখলে আরও এক বাঙালি ডিফেন্ডারকে পেতে চলেছে ভারতীয় ফুটবল। মোহন বাগান কোচ হোসে মোলিনার উচিত, ওকে আরও বেশি করে সুযোগ দেওয়া। তাহলে দীপ্যেন্দু আরও বিকশিত হবে।
সাফল্য ঢেকে দেয় অনেক দুর্বলতা। এই মোহন বাগান দলেও উইং-ব্যাক পজিশনে ফাঁকফোকর রয়েছে। বুধবারও বেশ কয়েকবার শুভাশিস-আশিস রাইদের নড়বড়ে লেগেছে। সব থেকে বড় কথা, লিস্টন ও মনবীর যদি অন্য কোনও দলে থাকলে, তাহলে কিন্তু মোহন বাগানের পথ এত মসৃণ হতো না।