শেয়ার প্রভৃতি ক্ষেত্র থেকে অর্থ লাভের যোগ। ডাক্তার, মেডিকেল রিপ্রেজেন্টেটিভ, হস্তশিল্পী প্রভৃতিদের পক্ষে দিনটি শুভ। ... বিশদ
ক্রমশ হাস্যকর পর্যায়ে পৌঁচ্ছছে রেড রোডের ক্লাবটি। বকেয়া বেতন না মেলায় মঙ্গলবারই সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘটা করে পদত্যাগের কথা জানিয়েছিলেন কোচ আন্দ্রে চেরনিশভ। তাঁর নিশানায় ছিলেন ইনভেস্টর ও ক্লাব কর্তারা। অথচ ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ৩৬০ ডিগ্রি ঘুরে সেই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করলেন তিনি। শুধু তাই নয়, বিনিয়োগকারী কর্তাদের অনুমতি নিয়ে আইএসএলের মাঝপথেই ছুটিতে চলে গেলেন সাদা-কালো কোচ। অথচ গোটা বিষয়টাই ঘটল ক্লাব কর্তাদের অন্ধকারে রেখে। এবার ক্লাবের পক্ষ থেকে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কে কথা বলবেন, তা নিয়েও বৃহস্পতিবার ক্লাব তাঁবুতে বাকবিতণ্ডায় জড়ালেন বাঙ্কারহিল কর্তা দীপক সিং ও ক্লাব সচিব ইসতিয়াক আহমেদ। ইনভেস্টরের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এবার থেকে ক্লাবের পক্ষ থেকে যাবতীয় বক্তব্য রাখবেন কার্যকরী সভাপতি কামারুদ্দিন। আর তা শোনার পরই বিরোধিতা জানান ক্লাব সচিব। পাল্টা তাঁকে দমিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন সভাপতি আমিরুদ্দিন ববি। এই নিয়ে রীতিমতো ক্ষোভ উগড়ে দিলেন সচিব ইসতিয়াক আহমেদ। তাঁর মন্তব্য, ‘বুধবার কোচ পদত্যাগ করলেন। আজ আবার তা ফিরিয়েও নিলেন। দু’দিন বাদেই মোহন বাগানের বিরুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ খেলতে নামবে দল। অথচ তার আগে কোচ ছুটিতে চলে গেলেন। গোটা বিষয়টাই গট আপ। ক্লাবকে ড্যামেজ করার জন্যই ইনভেস্টর কর্তারা উঠে পড়ে লেগেছেন। এবার আমার কণ্ঠরোধের চেষ্টা হচ্ছে। এটা কখনওই মেনে নেওয়া সম্ভব নয়।’
গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই বকেয়া বেতন ইস্যুতে বারবার বিদ্রোহের পথ বেছে নিয়েছিলেন ফুটবলাররা। মুম্বই ম্যাচের আগে ক্লাব সচিবের হস্তক্ষেপে মেটে সমস্যা। এরপরই কোচের পদত্যাগে পরিস্থিতি আরও কঠিন করে তুলেছিল। বৃহস্পতিবার ইনভেস্টরের সঙ্গে আলোচনার পর অবশ্য নিজের সিদ্ধান্ত বদলাল চেরনিশভ। তবে শনিবার মিনি ডার্বিতে মহমেডানের দায়িত্বে দেখা যাবে দলের সহকারী কোচ মেহরাজউদ্দিন ওয়াডুকে। বৃহস্পতিবার তাঁর প্রশিক্ষণেই দল প্রস্তুতি সারে।