কাজকর্মে নতুন সুযোগ আসতে পারে। কর্ম সাফল্যে আনন্দ লাভ। ব্যবসায় উন্নতি। গবেষকদের পক্ষে শুভ। ... বিশদ
ম্যাচের আগে প্রায় সবাই মোহন বাগানকে এগিয়ে রেখেছিলেন। কর্তাদের মুখ শুকনো। প্রবল চাপে ফুটবলাররা। তবু কী করে সম্ভব হল প্রত্যাবর্তন? মেহতাব, বাইচুং, ওপারাদের মনে প্রমাণের তাগিদ জমেই ছিল। দেশলাইয়ের ছোঁয়াতেই বিস্ফোরণ ঘটে। আসলে কঠিন পরিস্থিতিতে ফুটবলারদের তাগিদ সবকিছু পাল্টে দিতে পারে। এই ম্যাচ তার জ্বলন্ত উদাহরণ। উগা, মেহতাব, সঞ্জুরা সেদিন বোধহয় দুটো অক্সিজেন সিলিন্ডার নিয়ে মাঠে নেমেছিল। ম্যাচের শুরুতে অবশ্য মোহন বাগানই দাপট দেখায়। ব্যারেটোর পেনাল্টি মিসের পর দারুণভাবে ম্যাচে ফিরি আমরা। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে ইয়াকুবুর লক্ষ্যভেদই টার্নিং পয়েন্ট। এরপর অন্তিম লগ্নে বাইচুংয়ের পাস ধরে ব্যবধান বাড়ায় মেহতাব। সেদিন বাইচুংকে ইচ্ছা করেই প্রথম দলে রাখিনি। ফল অন্যরকম হলে সিদ্ধান্ত ব্যুমেরাং হতে পারতো। বাইচুং অবশ্য রাগ পুষে রাখেনি। মাত্র ১৫ মিনিটের জন্য মাঠে নেমেও ভালো ফুটবল উপহার দেয়। ছোট্ট ছোট্ট ঘটনাই দুরন্ত টিম স্পিরিটের উদাহরণ। আরও একটা বড় ম্যাচ। প্রায় দেড়যুগ পর ডার্বির ভেন্যু গুয়াহাটি। পরিস্থিতিও প্রায় অবিকল। হারতে হারতে কোণঠাসা ইস্ট বেঙ্গল। আমার ধারণা অস্কারের দল লড়বে। নাছোড় মানসিকতা আর চোয়ালচাপা লড়াই চাই। দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েও দপ করে জ্বলে ওঠার নামই যে ইস্ট বেঙ্গল।