গৃহে শুভ অনুষ্ঠান উপলক্ষে কর্মব্যস্ততা। অর্থকরী আয়ের ক্ষেত্রটি অনুকূল। ব্যয়ের চাপ কিছুটা বাড়তে পারে। বিদ্যায় ... বিশদ
কার্লেস কুয়াদ্রাত জমানায় ইস্ট বেঙ্গলের আত্মবিশ্বাস তলানিতে ঠেকেছিল। এএফসি’তে দায়িত্ব নিয়েই রোগ সারান ব্রুজোঁ। এবার আইএসএলেও তার প্রতিফলন চোখে পড়ল। বৃহস্পতিবারের চূড়ান্ত মহড়ার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই ৪-৪-২ ফর্মেশনে দল সাজিয়েছিলেন কোচ। প্রথম একাদশে ফেরেন হেক্টর ও জিকশন সিং। প্রত্যাশামতো সুযোগ পেলেন বিষ্ণুও। ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ফুটবল মেলে ধরে ইস্ট বেঙ্গল। প্রথম মিনিটেই দলকে লিড এনে দিতে পারতেন কেরালাইট তরুণ। রাকিপের পাস ধরে ডান প্রান্ত থেকে সেন্টার করেন জিকশন। তাতে বিষ্ণুর ড্রপ ভলি নর্থইস্ট গোলরক্ষকের হাতে জমা পড়তেই গ্যালারিতে হতাশার ছোঁয়া। পরের মিনিটেই সুবিধাজনক জায়গায় সেটপিস পায় হোম টিম। তবে তালালের বাঁক খাওয়ানো শট শরীর ছুঁড়ে বিপন্মুক্ত করেন গোলরক্ষক গুরমিত। উল্টোদিকে, ১২ মিনিটে প্রথম সুযোগ আসে নর্থইস্টের কাছেও। লালচুংনুঙ্গাকে গতিতে হারিয়ে বক্সে ঢুকে পড়েছিলেন জিতিন। সাজানো বল পার্থিব জালে পাঠানোর আগেই চিলের মতো ছোঁ মেরে তা ক্লিয়ার করেন আনোয়ার। শেষ পর্যন্ত ২৩ মিনিটে কাঙ্ক্ষিত গোল পায় ইস্ট বেঙ্গল । কর্নার থেকে তালালের নেওয়া শটে জটলা তৈরি হয় নর্থইস্ট বক্সে। ফের বল যায় তালালের কাছে। ফরাসি মিডিওর সেন্টার থেকে হেডে জাল কাঁপান দিয়ামানতাকোস (১-০)। সমতায় ফিরতে পাল্টা চাপ বাড়ান আলেইদিন। তবে ডাবল মার্কিংয়ে মরক্কান ফুটবলারটিকে দাঁত ফোটাতে দিলেন না আনোয়ার ও রাকিপ। এক গোলের লিড কখনও স্বস্তির নয়! সেটা ভালোই জনেন ব্রুজোঁ। তাই বিরতির পর আক্রমণের ঝাঁঝ বজায় রেখেছিল মশাল বাহিনী। তবে নেস্টরের বদলে নিকসন ও পার্থিবের পরিবর্তে গুইলেরমোকে নামিয়ে পাল্টা চাল দেন নর্থইস্ট কোচ। এই পর্বে ম্যাচে আধিপত্য বিস্তার করেছিল পাহাড়ি দলটি। তবে তাদের পরিকল্পনায় বড় ধাক্কা আসে ৬৭ মিনিটে। বিষ্ণুকে ফাউল করে জোড়া হলুদ কার্ড দেখলেন বেমামের। ১০ জন হয়ে পড়ায় চাপ বাড়ে নর্থইস্টের। তবে শেষ পর্বে লালচুংনুঙ্গাও দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন। বাকি সময়ে স্কোরলাইনের পরিবর্তন ঘটেনি।
ইস্ট বেঙ্গল: প্রভসুখন, রাকিপ, আনোয়ার, হেক্টর, লালচুংনুঙ্গা, জিকসন (প্রভাত), শৌভিক, ক্রেসপো, বিষ্ণু (সায়ন), তালাল এবং দিয়ামানতাকোস (ক্লেটন)।
ইস্ট বেঙ্গল-১ : নর্থইস্ট ইউনাইটেড-০
(দিয়ামানতাকোস)