চাকরিজীবীদের কর্মোন্নতি ও পদোন্নতির সঙ্গে বেতন বৃদ্ধির যোগ। যানবাহন চালনায় সতর্ক হন। ... বিশদ
২০ জুলাই হওয়ার কথা ছিল এই বাউট। কিন্তু আলসারের কারণে তখন নামতে পারেননি টাইসন। এখন সুস্থ হয়ে উঠেছেন কিংবদন্তি বক্সার। ২০০৫ সালে শেষবার রিংয়ে নেমেছিলেন তিনি। বর্ণময় কেরিয়ারে মোট ৫৮টি পেশাদার ম্যাচ খেলেছেন টাইসন। জিতেছেন ৫০টি। তার মধ্যে ৪৪টি বাউটেই প্রতিপক্ষকে নক-আউট করেছেন ‘লৌহমানব’। এখানেই শেষ নয়, ১৯৮৭ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত টানা চারবার ওয়ার্ল্ড হেভিওয়েট চ্যাম্পিয়ন ছিলেন টাইসন। অন্যদিকে, জেক পল এখন কেরিয়ারের মধ্যগগনে। পেশাদার বক্সিংয়ে ১১টি লড়াইয়ের মধ্যে তিনি জিতেছেন দশটিতেই। হার মাত্র এক। ফলে দু’জনের মধ্যে উপভোগ্য লড়াইয়ের আশায় অনুরাগীরা।
টেক্সাসের আর্লিংটনের এটি অ্যান্ড টি স্টেডিয়ামে হবে হাই-ভোল্টেজ ম্যাচ। টাইসনের বয়সের কথা মাথায় রেখে নিয়মে কিছু বদল করা হয়েছে। ১০ বা ১২ নয়, ফয়সালা হবে আট রাউন্ডে। তিন মিনিটের বদলে প্রতিটি রাউন্ড চলবে দু’মিনিট। জোরালো আঘাত যাতে না লাগে তার জন্য দু’জনের বক্সিং গ্লাভসের ওজনও বাড়ানো হয়েছে। দীর্ঘ ১৯ বছর পর রিংয়ে নামলেও তিনি এই লড়াইয়ে হারবেন না বলেই জানিয়েছেন টাইসন। তাঁর কথায়, ‘আমি হারব না। রিংয়ে নেমে হারের কথা ভাবতেই পারি না। নিজের উপর এখনও ভরসা আছে। আমি জানি, কী করতে পারি। বয়স হলেও আমার হাতের জোর কমেনি। পলকে শিক্ষা দিতে আমি তৈরি।’ অন্যদিকে, কেরিয়ারের সবচেয়ে বড় ম্যাচে নামার আগে আত্মবিশ্বাসী জেক পল। তাঁর হুঙ্কার, ‘এই বাউটে পুরনো টাইসনকেই দেখতে চাই। প্রত্যেকে সেই আশা করছে। তবে আমি আগাম সকলের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। কারণ, আমার কাছে আপনাদের প্রিয় টাইসন নক-আউট হবে। এই ম্যাচ পুরো ১৬ মিনিট চলবে না।’
অনেকে মজা করে বলছেন দাদু-নাতির লড়াই। তবু টাইসন নামের এমনই মহিমা যে, সেই অসম বাউট ঘিরেই টগবগ করে ফুটছে টেক্সাস।