নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: অবশেষে জল্পনাই সত্যি হল। অবসর নিলেন জিমন্যাস্ট দীপা কর্মকার। আজ, সোমবার সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেই তাঁর অবসরের কথা জানিয়েছেন তিনি। ২০১৬ সালে রিও ওলিম্পিক্সে ভল্ট ইভেন্টে চতুর্থ হয়েছিলেন এই বাঙালি জিমন্যাস্ট। অল্পের জন্য জিততে পারেননি পদক। তাঁর প্রোদুনোভা নিয়ে সেবার রীতিমতো আলোড়ন পড়েছিল। এরপর ৩১ বছরের এই জিমন্যাস্ট প্যারিস ওলিম্পিক্সে যোগ্যতা অর্জন করতে পারেননি। একের পর এক সমস্যায় জর্জরিত ছিলেন এই বাঙালি জিমন্যাস্ট। চোটের ফলে একাধিক প্রতিযোগিতায় নামতেই পারেননি দীপা। ২০১৯ সালের পর সেভাবে আর কোনও বড় প্রতিযোগিতায় দেখাও যায়নি তাঁকে। ২০২২ সালে ডোপিং আইন লঙ্ঘন করার অভিযোগে ২ বছরের জন্য নির্বাসিতও হন। সম্ভবত তখন থেকেই তিনি অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। কানাঘুষোয় এই খবর ইতিউতি শোনাও যাচ্ছিল। কিন্তু অনেকেই হয়ত তা বিশ্বাস করতে পারেননি। অবশেষে সেই জল্পনাই সত্যি হল। জিমন্যাস্ট থেকে অবসর নিলেন ত্রিপুরার এই মেয়ে।
আজ অবসরের ঘোষণার কথা জানিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি লেখেন, জিমন্যাস্টিক্স থেকে অবসর নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এটা একদমই সহজ ছিল না। তবে এটাই সঠিক সময়। প্রতিটি মুহূর্ত উপভোগ করেছি। কখনও সাফল্য পেয়েছি আবার কখনও ব্যর্থ হয়েছি। ৫ বছর বয়সে আমায় একজন বলেছিলেন, আমি নাকি কখনও জিমন্যাস্ট হতে পারব না। কারণ, আমার পায়ের পাতা সমান। এরপরও যেটুকু সাফল্য পেয়েছি তার জন্য আমি গর্বিত। বিশ্ব মঞ্চে ভারতের হয়ে প্রতিনিধিত্ব, পদক জেতা এবং ২০১৬ সালের রিও ওলিম্পিক্সে প্রোদুনোভা ভল্ট আমার জিমন্যাস্ট কেরিয়ারের স্মরণীয় ঘটনা। এদিন অবসরের ঘোষণার পাশাপাশি দীপা কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন তাঁর কোচদেরও। বিশ্বেশ্বর নন্দী এবং সোমা দেবীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি।